স্পোর্টস ডেস্ক : শেষ ছয় ওভারে ১০২ রান! কলকাতার মিডল অর্ডারের ধীর ব্যাটিংয়ের কারণে শুক্রবার কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্সের কাছে মাত্র ১০ রানে হেরে যায় নিথিশ রানা ও আন্দ্রে রাসেলরা।
শুক্রবার কলকাতার ইডেন গার্ডেনে বেঙ্গালুরুর দেয়া ২১৪ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নামা আন্দ্রে রাসেল ও নীতিশ রানা বেঙ্গালুরুর বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালান। তারা দলের জয়ের জন্য অসম্ভব লড়াই করে গেছে।
দলের ১৫তম ওভারে ২০ রান, ১৬তম ওভারে ১৭ রান, ১৭তম ওভারে ১৫ রান, ১৮তম ওভারে ১৮ রান, ১৯তম ওভারে ১৯ রান ও ২০তম ওভারে ১৩ রান নেন এ দুই ব্যাটসম্যান। অর্থাৎ, নীতিশ রানা ও আন্দ্রে রাসেলের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের শেষ ৬ ওভারে এসেছে ১০২ রান।
নীতিশ ৪৬ বলে ৮৫ রানের অসাধারণ ইনিংস উপহার দেন। তার ইনিংসটি ছিল ৯টি চার ও ৫টি ছক্কায় সাজানো। আর আন্দ্রে রাসেল ছিলেন আগের ম্যাচগুলোর মতই উজ্জ্বল। ২টি চার ও ৯টি ছক্কায় ২৫ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলে আউট হন।
তবে মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ধীর ব্যাটিংয়ের কারণে বিশাল রানের পাহাড় ঢিঙাতে পারেনি শাহরুখ খানের দল। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট কলকাতার ২০৩ রান করতে সক্ষম হয়।
এর আগে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান সংগ্রহ করে বেঙ্গালুরু। অধিনায়ক কোহলি ৫৮ বলে ১০০ রানের ঝলমলে ইনিংস উপহার দেন। তার ইনিংসটি ছিল ৯টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজানো। বিশ্বকাপের আগে তার এ সেঞ্চুরিটি ভারতীয় দলের জন্য বিশেষ ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন ক্রিকেট বোদ্ধারা।
এদিকে ইংলিশ ক্রিকেটার মঈন আলীর ব্যাটও আজ হেসেছে। মাত্র ২৮ বলে ৫টি চার ও ৬টি ছক্কায় তিনি ৬৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। এছাড়া মার্কাস স্টয়নিস অপরাজিত ১৭, অক্ষদ্বীপ নাথ ১৩ ও পার্থিব পেটেল ১১ রান করেন। কলকাতার পক্ষে একটি করে উইকেট শিকার করেন হ্যারি গার্নি, সুনীল নারাইন, আন্দ্রে রাসেল ও কূলদ্বীপ যাদব।