সোমবার, ২৪ জুন, ২০১৯, ১১:২৬:২৭

আফগানিস্তানের জন্য এটা উচিত শিক্ষা

আফগানিস্তানের জন্য এটা উচিত শিক্ষা

স্পোর্টস ডেস্ক: ২৬৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশের কাছে বড় ব্যাবধানে হেরে গেল আফগানিস্তান। বাংলাদেশ ২৬৩ রানের জবাবে ৪৭ ওভারে ২০০ রানে অলআউট হয়ে যায় আফগানরা। বাংলাদেশের পক্ষে ৫ উইকেট এবং ব্যাট হাতে ফিফটি করেন সাকিব আল হাসান।

রশিদকে দ্রুত ফেরালেন মুস্তাফিজ।গত এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ফিফটি করেছিলেন রশিদ খান। এবার তাকে দ্রুত ফিরিয়ে দিলেন বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
অফ স্টাম্প থাকা শর্ট বল পুল করেছিলেন রশিদ। টাইমিং করতে পারেননি। মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমান মাশরাফি বিন মুর্তজা।

৩ বলে ২ রান করেন রশিদ। ৪৪ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ১৯১/৮। ক্রিজে সামিউল্লাহ শিনওয়ারির সঙ্গী দৌলত জাদরান। জয়ের জন্য শেষ ৬ ওভারে আরও ৭২ রান চাই তাদের।

সাকিবের পঞ্চমে ভাঙল জুটি

নাজিবউল্লাহ জাদরানকে ফিরিয়ে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জুটি ভাঙলেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপে ও ইংল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে নিলেন পাঁচ উইকেট।

বাঁহাতি স্পিনারের আর্ম বল বেরিয়ে গিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন নাজিবউল্লাহ। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান পাননি বলের নাগাল। স্টাম্পিংয়ের সহজ সুযোগ কাজে লাগান মুশফিকুর রহিম। ভাঙে ৫৬ রানের জুটি।

বিশ্বকাপে মাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে কোনো ম্যাচে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলার সঙ্গে ৫ উইকেট নিলেন সাকিব। তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপের একই আসরে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিলেন তিনি।

২৩ বলে দুই চারে ২৩ রান করেন নাজিবউল্লাহ। ৪৩ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ১৮৯/৭। ক্রিজে সামিউল্লাহ শিনওয়ারির সঙ্গী রশিদ খান।

সামিউল্লাহ-নাজিবউল্লাহ জুটিতে পঞ্চাশ

শুরু থেকে আস্থার সঙ্গে খেলছেন সামিউল্লাহ শিনওয়ারি। ক্রিজে যাওয়ার পর থেকে শট খেলছেন নাজিবউল্লাহ জাদরান। আফগানিস্তানকে উপহার দিলেন প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি।

সপ্তম উইকেটে ৪১ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করে জুটির রান। ৪২ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ১৮৪/৬। সামিউল্লাহ ৩৬ ও নাজিবউল্লাহ ২২ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য ৮ ওভারে ৭৯ রান চাই তাদের।

লিটনের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট ইকরাম

সরাসরি থ্রোয়ে আফগানিস্তানের কিপার ব্যাটসম্যান ইকরাম আলি খিলকে রান আউট করে দিলেন লিটন দাস।

মেহেদী হাসান মিরাজের বল ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন সামিউল্লাহ শিনওয়ারি। ব্যাটে খেলতে পারেননি, প্যাডে লেগে বল যায় লেগ সাইডে। রানের জন্য একটু এগিয়ে গিয়েছিলেন দুই ব্যাটসম্যান। ইকরাম ফিরতে দেরি করেন। ব্যাটও প্লেস করেন আড়াআড়ি। জায়গায় পৌঁছানোর আগেই লিটনের থ্রো এলোমেলো করে দেয় স্টাম্পস।

১২ বলে ১ চারে ১১ রান করেন ইকরাম। ৩৬ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ১৪১/৬। ক্রিজে সামিউল্লাহর সঙ্গী নাজিবউল্লাহ জাদরান।

সাকিবের চতুর্থ শিকার আসগর

আসগর আফগানকে ফিরিয়ে সাকিব আল হাসান নিলেন নিজের চতুর্থ উইকেট।

বাঁহাতি স্পিনারের ফুল লেংথ বল স্লগ সুইপ করে ওড়াতে চেয়েছিলেন আসগর। টাইমিং করতে পারেননি, সীমানায় সহজ ক্যাচ মুঠোয় নেন বদলি ফিল্ডার সাব্বির রহমান। বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মতো চার উইকেট পেলেন সাকিব। ইংল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের কোনো বোলার পেলেন প্রথমবার।

৩৮ বলে একটি চারে ২০ রান করেন আসগর। ৩৩ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ১১৯/৫। ক্রিজে সামিউল্লাহ শিনওয়ারির সঙ্গী ইকরাম আলি খিল। জয়ের জন্য শেষ ১৭ ওভারে আরও ১৪৪ রান চাই তাদের।

নবিকে শূন্যতেই ফেরালেন সাকিব

গুলবাদিন নাইবকে ফেরানোর পর একই ওভারে মোহাম্মদ নবিকে বোল্ড করে বিদায় করলেন সাকিব আল হাসান।

আগের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে দারুণ খেলা নবি এবার রানের খাতা খুলতে পারেননি। অফ স্টাম্পের একটু বাইরে পড়ে স্কিড করে ভেতরে ঢোকা বল পা বাড়িয়ে ব্যাটে খেলতে পারেননি এই অলরাউন্ডার। ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে বল আঘাত হানে স্টাম্পে।

২৯ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ১০৬/৪। ক্রিজে আসগর আফগানের সঙ্গী দলে ফেরা সামিউল্লাহ শিনওয়ারি। জয়ের জন্য শেষ ২১ ওভারে ১৫৭ রান চাই তাদের।

গুলবাদিনের প্রতিরোধ ভাঙলেন সাকিব
গুলবাদিন নাইবকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট পেলেন দারুণ বোলিং করে যাওয়া সাকিব আল হাসান।

অফ স্টাম্পের বাইরের বল কাভার ড্রাইভ মাটিতে রাখতে পারেননি আফগান অধিনায়ক। এই ধরনের শটের জন্যই শর্ট কাভারে দাঁড় করানো হয়েছিল লিটন দাসকে। চমৎকার এক ক্যাচ নেন তিনি। ৭৫ বলে তিন চারে ৪৭ রান করে ফিরেন নাইব।

মন্থর ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তানের একশ

স্পিনাররা আক্রমণে আসার পর কমেছে রানের গতি। ২৬তম ওভারে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছে আফগানিস্তান। দ্বাদশ ওভারে পঞ্চাশ ছুঁয়েছিল তারা।

২৬ ওভার শেষে আফগানিস্তারে স্কোর ১০১/২। গুলবাদিন ৪৫ ও আসগর আফগান ১২ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ২৪ ওভারে আরও ১৬২ রান চাই তাদের।

মোসাদ্দেকের বলে স্টাম্পড শাহিদি

হাশমতউল্লাহ শাহিদিকে ফেরালেন মোসাদ্দেক হোসেন। দারুণ স্টাম্পিং করে এতে বড় অবদান আছে মুশফিকুর রহিমেরও।

ঝুলিয়ে দেওয়া বল ব্যাটে খেলতে না পেরে একটু এগিয়ে গিয়েছিলেন শাহিদি। মুশফিক ফেলে দেন বেলস। ভাঙে ৩০ রানের জুটি।

৩১ বলে ১১ রান করেন শাহিদি। ২১ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ৭৯/২। ক্রিজে গুলবাদিন নাইবের সঙ্গী আসগর আফগান। জয়ের জন্য শেষ ২৯ ওভারে আরও ১৮৪ রান চাই তাদের।

সাকিবের প্রথম ওভারেই এল উইকেট

একাদশ ওভারে বোলিংয়ে এসেই রহমত শাহকে ফিরিয়ে আফগানদের শুরুর জুটি ভেঙেছেন সাকিব আল হাসান
স্কিড করা লেংথ বল পুল করতে চেয়েছিলেন রহমত। টাইমিং করতে পারেননি, মিড অনে ধরা পড়েন তামিম ইকবালের হাতে। ভাঙে ৪৯ রানের জুটি।

৩৫ বলে তিন চারে ২৪ রান করেন রহমত। ১১ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ৪৯/১। ক্রিজে গুলবাদিন নাইবের সঙ্গী হাশমতউল্লাহ শাহিদি।

পাওয়ার প্লেতে আফগানিস্তান ৪৮/০

সাবধানী শুরুর পর ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়াচ্ছেন রহমত শাহ ও গুলবাদিন নাইব। ১০ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ৪৮/০। রহমত ২৪ ও নাইব ১৫ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ৪০ ওভারে ২১৫ রান চাই তাদের।

প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোনো স্পিনার ব্যবহার করেননি বাংলাদেশ মাশরাফি বিন মুর্তজা। অধিনায়ক নিজে করেছেন পাঁচ ওভার। মুস্তাফিজুর রহমান তিনটি, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন দুটি।

আঁটসাঁট বোলিংয়ে বাংলাদেশের শুরু

ইনিংসের শুরুতে আঁটসাঁট বোলিং করছে বাংলাদেশ। আফগান ব্যাটসম্যানদের খুব একটা সুযোগ দেননি মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মুস্তাফিজুর রহমান।

৫ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ২১ রান। রহমত শাহ ৯ ও গুলবাদিন নাইব ৩ রানে ব্যাট করছেন। অতিরিক্ত থেকে এসেছে ৯ রান।

আফগানিস্তানকে ২৬৩ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

উইকেটে স্পিনারদের জন্য রয়েছে দারুণ সুবিধা। বল কখনও স্কিড করছে কখনও গ্রিপ করছে। রানের জন্য সংগ্রাম করতে হয়েছে ব্যাটসম্যানদের। এরই মধ্যে আফগান স্পিনারদের সামাল দিয়ে মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের ফিফটিতে কম রানের মাঠে বড় সংগ্রহ গড়েছে বাংলাদেশ।

৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৬২ রান করে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

ইনিংসের শেষ বলে মোসাদ্দেক হোসেনকে বোল্ড করে নিজের দ্বিতীয় উইকেট নেন আফগান অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব। শেষের দিকে বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে ২৪ বলে চারটি চারে ৩৫ রান করেন চোট কাটিয়ে দলে ফেরা মোসাদ্দেক।

এই মাঠে, এই উইকেটে আগের ম্যাচে ভারতকে ২২৪ রানে থামিয়েছিল আফগানিস্তান। বোলারদের নৈপুণ্যে ১১ রানে জিতেছিল বিরাট কোহলির দল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৬২/৭ (লিটন ১৬, তামিম ৩৬, সাকিব ৫১, মুশফিক ৮৩, সৌম্য ৩, মাহমুদউল্লাহ ২৭, মোসাদ্দেক ৩৫, সাইফ ২*; মুজিব ১০-০-৩৯-৩, দৌলত ৯-০-৬৪-১, নবি ১০-০-৪৪-১, গুলবাদিন ১০-১-৫৬-২, রশিদ ১০-০-৫২-০, রহমত ১-০-৭-০)।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে