স্পোর্টস ডেস্ক: একের পর এক রেকর্ডবয় সাকিবের হাতেই উঠলো ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ডু অর ডাই ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৬২ রানে হারিয়ে সেমির আশা টিকিয়ে রাখলো বাংলাদেশ। টাইগারদের দুর্দান্ত জয়ে অলরাউন্ডার পারফর্মেন্সে একের পর এক রেকর্ড গড়ে ৫১ রান ও ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন সাকিব আল হাসান।
টাইগারদের জবাব দিতে নেমে আফগানিস্তানের দুই ওপেনার দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলেন। দলকে ভালো একটু শুরু এনে দিয়ে ভয় ধরাচ্ছিলেন টাইগার শিবিরে। মাশরাফি-মোস্তাফিজ-সাইফুদ্দিনের পেসে পাওয়ারপ্লেতে আসেনি কোন সফলতা।
তবে প্রথম পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাকিবকে বলে নিয়ে আসেন মাশরাফি। আর তাতেই মেলে সফলত। ১১তম ওভারে প্রথম বল করতে এসেই তুলে নেন ওপেনার রহমত শাহকে। এরপর ইনিংসের ২১তম ওভারে মোসাদ্দেক ফিরিয়ে দেন তিন নম্বরে নামা হাসমতউল্লাহ শহিদিকে। দলীয় ৭৯ রানের মাথায় স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন ৩১ বলে ১১ রান করা হাসমতউল্লাহ।
ইনিংসের ২৯তম আর নিজের করা পঞ্চম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন সাকিব। ৪৭ রান করা গুলবাদিন নাইবকে ফিরিয়ে দেওয়ার এক বল পরে বোল্ড করেন মোহাম্মদ নবীকে। দলীয় ১০৪ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট হারায় আফগানরা।
দলীয় ১১৭ রানে আসগর আফগানকেও ফেরান সাকিব।পরবর্তীতে কিছুটা জুটি বেধে আফগানদের আশা দেখান শেনওয়ারী ও নজীবুল্লাহ জাদরান। আবারো বোলিংয়ে এসে আফগানদের সপ্ন ধুলিস্যাৎ করেন সাকিব। নাজিবুল্লাহকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে তুলে নেন বিশ্বকাপে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে পাঁচ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ১০ ওভার বোলিং করে ১ মেডেনে ২৯ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন সাকিব। যা এবারের বিশ্বকাপ ও সাকিবের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫১ রানের দারুন এক ইনিংস উপহার দেন সাকিব। আবারো জায়গা করে নেন রান সংগ্রাহকের তালিকায় সবার শীর্ষে। তার এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স জিতিয়ে দেয় বাংলাদেশকে। তাই ম্যাচ সেরাও হোন তিনিই।