স্পোর্টস ডেস্ক : ইনিংসের অর্ধেকটা শেষেও মনে হচ্ছিল, ৩০০ পার করা স্কোরের দিকেই এগোচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ইনিংসের দ্বিতীয় ভাগে ইংলিশ বোলাররা ম্যাচে ফিরেছেন দারুণভাবে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে অস্ট্রেলিয়াকে ৭ উইকেটে ২৮৫ রানে বেঁধে ফেলেছে ইংল্যান্ড।
অথচ অনায়াসে তিন শ পার করার পথেই ছিল অস্ট্রেলিয়া। ৩০ ওভারে ১ উইকেটে ১৬২, সেখান থেকে শেষ ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১২৩ রান! টি-টোয়েন্টির জমানায় ৯ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ ২০ ওভারে এই রান! ৪০ ওভারেই ২১৫ রান তুলে ফেলেছিল তারা, সেখান থেকেও শেষের ঝড়টা তুলতে পারল না।
শেষ ১০ ওভারে উঠেছে ৭০। স্লগ ওভারে আবারও ভুগল অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং। শেষ দুই ওভারে ২২ রান উঠেছে বলে কিছুটা রক্ষা। ১ উইকেটে ১৭৩ রান তোলা অস্ট্রেলিয়ার পথ হারানোর শুরু ৩৩তম ওভার থেকে।
দ্বিতীয় উইকেটে অ্যারন ফিঞ্চের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি ভাঙেন বেন স্টোকস। স্টাম্পের বল অন সাইডে খেলতে গিয়ে বোল্ড উসমান খাজা। এরপর থেকে বড় কোনো জুটি দাঁড় করাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। যখন ঝড় তুলছি-তুলব করেছে, ইংল্যান্ড মোক্ষম সময়ে তুলেছে নিয়েছে উইকেট।
এ কারণেই জেট গতি পায়নি শেষের ওভারগুলোর রান রেট। খাজা ফেরার মাত্র দুই ওভার পরে অস্ট্রেলিয়াকে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা দিয়েছেন জফরা আর্চার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সপ্তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পাওয়ার ঠিক পরের বলেই অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক ফিঞ্চকে তুলে নেন আর্চার।
ইংলিশদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ইনিংসকে অবশ্য কখনোই খুব বড় করতে পারেননি ফিঞ্চ। যে ৭ বার সেঞ্চুরি পেয়েছেন, ৫ বারই আউট হয়েছেন ১১০ এর নিচে। ফিঞ্চের বিদায়ের পর বড় সংগ্রহের জন্য যার দিকে তাকিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া, সেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আরও একবার হতাশ করেছেন। একটি করে চার-ছয় মেরে ম্যাক্সওয়েল ফিরেছেন মাত্র ১২ করে।
মার্কাস স্টয়নিস ফিরেছেন স্টিভ স্মিথের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়ে। নিজের কাজটা শেষ করে আসতে পারেননি স্মিথও। চার ওভার বাকি থাকতেই ক্রিস ওকসের বলে ফিরেছেন ৩৮ রানে। শেষ দিকে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারি (৩৮) চেষ্টা করে ২৮৫ পর্যন্ত নিয়ে যান পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
ইংলিশরা ম্যাচে ফিরেছে সব বোলারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। দুটির বেশি উইকেট পাননি কেউই, কিন্তু নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে বাধ্য করেছেন উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসতে। উইকেটসংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে সফল ছিলেন ক্রিস ওকস, ১০ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন।
মিচেল স্টার্ক-জেসন বেহেনড্রফরা জ্বলে উঠায় ৩৩ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান করেছে ইংল্যান্ড। এর আগে চলতি বিশ্বকাপে যে দুটি ম্যাচ হেরেছে ইংল্যান্ড, দুটিই রান তাড়া করে। আজকেরটাও হারার পথে! বিশেষ করে বাংলাদেশের সমর্থকেরা এই ম্যাচে খুব করে চাইবে অস্ট্রেলিয়া যেন জেতে।