স্পোর্টস ডেস্ক : ২০১১ বিশ্বকাপে ব্যাট-বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন যুবরাজ সিং। সেবার ভারতকে শিরোপা জেতানোর পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল তার। ২০১৯ বিশ্বকাপে সেই অলরাউন্ডারের মতোই পারফর্ম করছেন সাকিব আল হাসান।
ভারতীয় সাবেক পেসার জহির খান ঠিক তেমনটাই মনে করছেন। বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলংকায় বসে ২০১১ আসর। উপমহাদেশে বিশ্বকাপ, এখানকার ক্রিকেটারদের ভালো করাটা স্বাভাবিকই ছিল। যুবরাজ সেই সুযোগ হাতছাড়া করেননি। দলকে দুই বিভাগেই সেরা পারফরম্যান্স উপহার দেন তিনি।
৯ ম্যাচে এক সেঞ্চুরি ও চার হাফসেঞ্চুরিতে ৩৬২ রান সংগ্রহ করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। আর বল হাতে ঝুলিতে ভরেন ১৫ উইকেট। দুর্দান্ত অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের সুবাদে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জেতেন তিনি।
এবারের বিশ্বকাপে সাকিবের মাঝে যুবরাজকে দেখছেন জহির। এখন পর্যন্ত সাত ম্যাচে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন সাকিব। দুই সেঞ্চুরি ও তিন হাফসেঞ্চুরিতে ৪৭৬ রান জোগাড় করেছেন তিনি। বল হাতে পকেটে পুরেছেন ১০ উইকেট।
এক কথায়, ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে ফর্মের মগডালে আছেন সাকিব। বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে দারুণ ছন্দে থাকা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ভূয়সী প্রশংসা করে জহির খান বলেন, যুবরাজ সিংয়ের মতোই টুর্নামেন্ট কাটাচ্ছে সাকিব। ২০১১ বিশ্বকাপে প্রতি ম্যাচেই যুবি রান করেছে। সব ম্যাচে বল হাতে অবদান রেখেছে।
সাকিবও ঠিক একই কাজ করছে। সে ধাপে ধাপে উন্নতি করছে। এখন পর্যন্ত তার সর্বনিম্ন স্কোর ৪১! ও ইতিমধ্যে ১০ উইকেট তুলে নিয়েছে। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এবং উইকেট শিকারির তালিকায় ওপরে আছে। আমরা সবসময় বলি, পারফরম্যান্স দিয়ে দলকে উজ্জীবিত করা, এটিই উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
গ্রুপপর্বে দুই ম্যাচ বাকি বাংলাদেশের। ব্যাট হাতে ইতিমধ্যে যুবরাজের ২০১১ বিশ্বকাপের রান পেরিয়ে গেছেন সাকিব। বল হাতে তাকে ধরতে প্রয়োজন ৫ উইকেট। ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষেই উইকেটে যুবিকে ছুঁয়ে ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে তার। সবশেষ কথা, ট্রফি উঁচিয়ে পারফরম্যান্স উপভোগ করেন যুবরাজ, সাকিব কি পারবেন?