বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০১৯, ০৭:৫৭:০৫

কিছু না বলেই বিষণ্ন মুখে চলে গেলেন স্টিভ রোডস

কিছু না বলেই বিষণ্ন মুখে চলে গেলেন স্টিভ রোডস

স্পোর্টস ডেস্ক : স্টিভ রোডস গত বছর জুনে মেঘলা দুপুরে এসেছিলেন বিসিবি কার্যালয়ে। সংবাদমাধ্যম এড়িয়ে চলে গিয়েছিলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহীর কক্ষে। বাংলাদেশে তার প্রথম দিনটার সঙ্গে শেষ দিনটাও মিলে গেল অদ্ভুতভাবে।

আজও সেই মেঘলা দুপুর। বিসিবির প্রধান নির্বাহীর কক্ষ। সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে যাওয়া। পার্থক্যটা হচ্ছে, যেদিন কোচ হয়ে বাংলাদেশে প্রথম এলেন, সেদিন মুখে একটা হাসি ছিল। আজ সেটি উধাও! বিদায়বেলায় তার বিষণ্ন মুখটা দেখে মনে হচ্ছিল, এভাবে বিদায় তিনি নিতে চাননি। 

এক বছরের বাংলাদেশ-অধ্যায় যিনি কখনোই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেননি সেই রোডস আজ বিদায়ক্ষণে একটা কথাও বললেন না। আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ-পর্বটা তার শেষ হলো নীরবেই। বিসিবি বলছে, ‘এটা পারস্পরিক সমঝোতার বিচ্ছেদ।’

রোডস কেন কথা বললেন না, এ নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বললেন, ‘এটি আসলে যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। খুবই স্বাভাবিক যে একটি সম্পর্কের যখন ইতি ঘটে, তখন স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন ধরনের ব্যাখ্যা হয়, তিনি হয়তো এসব ব্যক্তিগতভাবে এড়াতে চাইছেন।’ 

রোডস কিছু না জানালেও আজ বাংলাদেশ দলের ইংলিশ কোচের বিসিবি কার্যালয়ে আসা প্রসঙ্গে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরীর ব্যাখ্যা, ‘এটা আসলে একটা আনুষ্ঠানিকতা ছিল। কিছু আনুষঙ্গিক বিষয় ছিল, অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া। সেগুলো আমরা শেষ করলাম। তিনি সম্ভবত আজ বাংলাদেশ থেকে চলে যাচ্ছেন।’

গতকালও লন্ডনে ইন্টার পার্লামেন্টারি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, শ্রীলঙ্কা সিরিজে দায়িত্ব পালন করতে পারেন রোডস। ঠিক তাঁর পরের দিনই আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানালেন বাংলাদেশ কোচ। 

বিসিবি সভাপতির কথার সঙ্গে বাস্তবের এ অমিল নিয়ে নিজামউদ্দিন বললেন, ‌‌‌‘আমরা আগেও বলেছি যে সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টি হয়েছে। কিছু শর্ত থাকে। বোর্ড সভাপতি সেটাই বলেছেন যে তিনি চূড়ান্তভাবে কবে যাবেন বা কী করবেন সেটি তাঁরই (কোচের) সিদ্ধান্ত। সেটি আমাদের কাল জানিয়েছেন (কোচ)। আমরা সভাপতিকে রাতে জানিয়েছি বিষয়টি যে তিনি আজ চলে যেতে চাইছেন।’

স্টিভ রোডস চলে যাওয়ার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, নতুন কোচ সন্ধানের ব্যাপারে বিসিবি কী উদ্যোগ নিচ্ছে? বিসিবির প্রধান নির্বাহী জানালেন, তারা কোচ খোঁজার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন। যত দ্রুত সম্ভব শূন্য স্থান পূরণ করা হবে। শুধু প্রধান কোচই নন, কোচিং স্টাফে আরও কিছু জায়গাও দ্রুতই পূরণ করতে হবে বিসিবিকে। রোডসকে প্রধান কোচ হিসেবে নির্বাচিত করার পেছনে বিসিবি ইংল্যান্ড বিশ্বকাপকে প্রাধান্য দিয়েছিল। এবার কোচ নির্বাচনে কোনো কিছু প্রাধান্য নয়, বিসিবি ‘উন্মুক্ত’ থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথম আলো

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে