মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০১৯, ১২:১৭:২৮

মারামারির ঘটনার নিস্পত্তি না হলে হয়তো জেলে থাকার কথা ছিল স্টোকসের

মারামারির ঘটনার নিস্পত্তি না হলে হয়তো জেলে থাকার কথা ছিল স্টোকসের

স্পোর্টস ডেস্ক:বিশ্বকাপ ফাইনালের ফয়সালা শেষ পর্যন্ত হয়েছে বাউন্ডারি সংখ্যায়। তবে সেই চূড়ান্ত ধাপ পর্যন্ত নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে ইংল্যান্ড সমান তালে থাকতে পেরেছে স্টোকসের সৌজন্যেই। গতকাল রবিবার লর্ডসের ফাইনালে রান তাড়ায় যখন ধুঁকছিল ইংল্যান্ড, জস বাটলারের সঙ্গে স্টোকসের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় দল।

এদিন বাটলারের বিদায়ের পর স্টোকস একরকম একাই টানেন দলকে। অপরাজিত থাকেন ৯৮ বলে ৮৪ রানে। লম্বা ইনিংস শেষে ক্লান্তি ভুলে সুপার ওভারেও তিনি ছিলেন সুপার। ম্যান অব দা ফাইনালের বিবেচনায় তার কাছাকাছিও ছিল না আর কেউ।

এদিকে শুধু ফাইনালেই নয়, টুর্নামেন্ট জুড়েই স্টোকস ছিলেন ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল। ৬৬.৪২ গড়ে রান করেছেন ৪৬৫, উইকেট নিয়েছেন ৭টি। ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর স্টোকস ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট হলেও বিস্ময়কর কিছু হতো না।

অথচ, কিছুদিন আগেও স্টোকস শিরোনামে আসতেন কোনো না কোনো অপকর্ম করে। খ্যাপাটে এই অল-রাউন্ডার প্রায় নিয়মিতই প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারদের সঙ্গে মাঠেই বিবাদে জড়িয়ে পড়তেন। এসবের ধারাবাহিকতায় স্টোকস বড় অন্যায় করে বসেন ২০১৭ সালে।

ওই বছরের সেপ্টেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের সময় ব্রিস্টলে নাইটক্লাবের বাইরে মারামারি করে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। সেই মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। জাতীয় দলে নিষিদ্ধ করা হয় তাকে। পেতে হয়েছে শাস্তি।

আর এসব কারণে ওই সময় মনে করা হয়েছিল, এই প্রতিভাবান অল-রাউন্ডারের ক্যারিয়ারটাই বুঝি শেষ হয়ে গেল! চরম বিতর্কের মাঝেই বিয়ে করেন স্টোকস। এরপরেই তার জীবন যেন পাল্টে যায়। পাল্টে যায় আচরণ। যার ভেতরে এত প্রতিভা, সে কি হারিয়ে যেতে পারে? তাই আবারও দুর্দান্তভাবেই জাতীয় দলে ফিরে আসেন স্টোকস।

এদিকে মারামারির ঘটনার নিস্পত্তি না হলে হয়তো গতকাল দলকে আর বিশ্বকাপ জেতানো হত না। জেলে থেকেই নিজ দলের খেলার আপডেট নিতেন। সেই স্টোক এখন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের মহানায়ক। স্টোকস যেন দেখিয়ে দিলেন, চেষ্টা থাকলে, ইচ্ছা থাকলে সবই সম্ভব।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে