রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৪:৩৩:১৩

মা বাসের কন্ডাক্টর, দরিদ্র ছেলেটি করল বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ!

মা বাসের কন্ডাক্টর, দরিদ্র ছেলেটি করল বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ!

স্পোর্টস ডেস্ক : মা বাসের কন্ডাক্টর, দরিদ্র ছেলেটি করল বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ! চেষ্টা আর কঠিন পণ মানুষকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে তার আরেকটি উজ্জ্বল প্রমাণ সৃষ্টি করলেন ভারতের অথর্ব আনকোলেকর। মা বাসের কন্ডাক্টরি করে ছেলেকে বড় করেছেন। সেই ছেলের আবার ক্রিকেটের প্রতি নেশা। একসময় সুযোগ হয়ে যায় জাতীয় অনূর্ধ-১৯ দলে। প্রথম সুযোগেই ফাইনালে বাংলাদেশকে হারানোর নায়ক হয়ে যান অথর্ব। কলম্বোর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে ছেলের হাতে ম্যাচ সেরার ট্রফিটা দেখে নিজেকে আর সামলাতে পারেননি মা বৈদেহী। এমন সাফল্যের দিনে তার মনে পড়ে যাচ্ছিল স্বামীর কথা। 

৯ বছর আগে পৃথিবী ছেড়ে চলে যান তার বাবা বিনোদ আনকোলেকর। অথর্বের তখন মাত্র ১০ বছর বয়স। তার ভাই আরও ছোট। সংসার চালানোর জন্য বাস কন্ডাক্টরের কাজ নেন অথর্বের মা বৈদেহী। এখনও আর্থিক অবস্থা ভাল নয় অথর্বদের। তার ভাইও ক্রিকেট খেলে। মুম্বাইয়ের অনূর্ধ্ব ১৪ দলের সদস্য সে। ক্রিকেটার হওয়ার জন্য দাদা অথর্বকে কঠিন লড়াই করতে হয়েছে। ক্রিকেট কিট কেনার মতো অবস্থা ছিল না। জুতা কেনারও ক্ষমতা ছিল না তাদের।

দ্বীপরাষ্ট্রের মাটিতে বাংলাদেশকে হারানোর পরে অর্থবের গর্বিত মা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'আজ ওর বাবা যদি থাকতেন, তা হলে খুব খুশি হতেন। অথর্বের জন্য আজ আমরা সবাই গর্বিত। ওর জুতা কেনার মতো টাকা আমাদের ছিল না। অন্যরা সাহায্য করতেন। দিন কয়েক আগে অথর্ব ফোন করে আমাকে বলল, ভাইয়ের জন্য জুতা কেনার দরকার নেই। শ্রীলঙ্কায় প্রতি দিন যে টাকা পেয়েছে, তা দিয়ে ভাইয়ের জন্য ও জুতা কিনে দেবে।'

ছেলের খেলা দেখার জন্য শনিবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেছিলেন বৈদেহী। বাড়িতে ফিরে আর এক বিড়ম্বনায় পড়েন তিনি। যে চ্যানেলে এশিয়া কাপ ফাইনাল ম্যাচের সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছিল, সেই চ্যানেলটা তাদের টিভিতে দেখা যাচ্ছিল না। বাধ্য হয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বসে ছেলের এশিয়া জয় দেখেন বৈদেহী। কলম্বোর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত শ্বাসরুদ্ধকর উত্তেজনার ফাইনালে মাত্র ৫ রানে বাংলাদেশকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচের নায়ক বাঁ-হাতি স্পিনার আনকোলেকর।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে