বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৯, ১০:১৬:৩১

জার্মানীকে রুখে দিল আর্জেন্টিনা

জার্মানীকে রুখে দিল আর্জেন্টিনা

স্পোর্টস ডেস্ক: ২০১৪ বিশ্বকাপের পর জার্মানী এবং আর্জেন্টিনা খুব কম সময়ের ব্যবধানেই একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল। সেই ম্যাচে আর্জেন্টিনার কাছে ৪-০ গোলে হেরেছিল তখনকার চ্যাম্পিয়নরা।

সেই ম্যাচের পর প্রায় ৫ বছর কেটে গেছে দ্বিতীয়বারের মত মুখোমুখি হতে। আর এবারও জার্মানী জিততে পারেনি আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েও জার্মানীকে রুখে দিল আর্জেন্টিনা।

জার্মানীর বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ হলেই যেন দেখা যায় অন্যরকম এক আর্জেন্টিনাকে। যেকোন প্রীতি ম্যাচ মিলিয়ে সর্বশেষ তিন দেখায় জার্মানীকে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা। সেই সংখ্যাটা এবার চারে নিয়ে যেতে না পারলেও সর্বশেষ চার প্রীতি ম্যাচে না হারার রেকর্ডটা রেখেছে।

জার্মানী ও আর্জেন্টিনা দলটির এখন পার্থক্য অনেকটাই। বিশেষ করে দুই দলেই নেই অনেক পরিচিত মুখ। নতুন করে দল সাজানোর মিশনে আছে দুটি দলই। কিন্তু লড়াই দেখে বুঝার উপায় ছিল না এসবের কিছুই। ম্যাচের প্রথমার্ধটা ছিল জার্মানীর। এই অর্ধে রাজত্ব ছিল তাদের। তবে দ্বিতীয়ার্ধ আবার ছিল আর্জেন্টিনার। দুই দলের দুই অর্ধের দাপটে ম্যাচটিও শেষ হয়েছে সমতায়।

বায়ার্নের ফরোয়ার্ড সার্জিও গ্যানাব্রে কিছুদিন আগে টটেনহামের বিপক্ষে একাই করেছিলেন ৪ গোল। সেই ফর্মটা ধরে রাখলেন জাতীয় দলেও। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচের ১৫ মিনিটে প্রথম গোল করে জার্মানীকে এগিয়ে দেন তিনি।

৭ মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় গোলটিও পেয়ে যায় জার্মানী। এবার গ্যানাব্রের পাস থেকে গোল করে ব্যবধান ২-০ করেন কাই হাভের্টজ। শুরুতেই দুই গোল করে বড় কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিল জার্মান তারকারা। কিন্তু স্কালোনির শিষ্যদের প্রতিরোধের কারণে সেসব আর কিছু হয়নি।

ম্যাচের প্রথমার্ধে ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে জার্মানীর বড় পরীক্ষা নেয় আর্জেন্টিনা। আর সেই কাজের নেপথ্যে আছে দুই তারকা লুকাস অ্যালারিও ও লুকাস অকাম্পাস।

৬২ মিনিটের মাথায দিবালাকে তুলে মাঠে নামান অ্যালারিওকে। আর মাঠে নামার ৪ মিনিটের মধ্যেই আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম গোলটি শোধ করেন এই তারকা। মার্কোস আকুনিয়ার বাঁ-প্রান্ত থেকে করা ক্রসে হেড করে জার্মান গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগানকে পরাস্ত করেন বেয়ার আলারিও।

প্রথম গোলের পর সমতায় ফিরতে মরিয়া জার্মানী একের পর এক আক্রমন চালায়। কিন্তু প্রচুর আক্রমন করেও গোলটাই আসছিল না তাদের। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় গোলের পথটাও দেখিয়ে দেন অ্যালারিও। ৮৬ মিনিটে দুর্দান্ত এক সোলো রানে জার্মানির তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডিবক্সের বাঁ-প্রান্তে থাকা ওকাম্পোসকে পাস বাড়ান তিনি। বল নিয়ন্ত্রণে এনে ডানপায়ের ঠান্ডা মাথার ফিনিশে দলকে সমতায় ফেরান ওকাম্পোস। জাতীয় দলের হয়ে আজই অভিষেক হওয়া তারকার এর চেয়ে ভালো মুহূর্ত আর হতেই পারে না। শেষ পর্যন্ত আর কোন দল গোল করতে না পারলে ম্যাচটি শেষ সমতায়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে