শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৯, ০৪:২৮:৫৬

মাত্র ৬০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে টাইগাররা

মাত্র ৬০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে টাইগাররা

স্পোর্টস ডেস্ক : ইডেনে গোলাপি বলের টেস্টে প্রথম ঘণ্টাতেই পড়ে গিয়েছিল চার উইকেট! সেই ঝটকা আর সামলাতে পারেনি বাংলাদেশ। লাঞ্চের বিরতিতে এই প্রতিবেদন লেখার সময় ৭৩ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে তারা। 

ঐতিহাসিক ইডেন টেস্টে প্রথম বল করেছিলেন ইশান্ত শর্মা। প্রথম বল খেলেছিলেন শাদমান ইসলাম। সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসের অঙ্গ হয়ে গিয়েছিলেন এই দুই জন। ইশান্ত আবার গোলাপি বলে প্রথম উইকেটও নিয়েছিলেন। তার বলে এলবিডব্লিউ হয়েছিলেন ইমরুল কায়েস (৪)। 

১৫ রানে পড়েছিল বাংলাদেশের প্রথম উইকেট। পরের দুই উইকেট পড়ল দুই রানের মধ্যে। সেই শুরু। এর পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল পদ্মাপারের দল। দ্বিতীয় উইকেটের নেপথ্যে বোলার উমেশ যাদবের চেয়েও অবশ্য কৃতিত্ব বেশি দ্বিতীয় স্লিপে থাকা রোহিত শর্মার। মোমিনুলের খোঁচা ডানদিকে ঝাঁপিয়ে এক হাতে অবিশ্বাস্য দক্ষতায় ধরলেন। কোনও রান না করেই ফিরলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। 

এর দুই বল পরেই উমেশের বল ব্যাটের কাণায় লাগিয়ে বোল্ড হলেন মিঠুন। তিনিও খাতা খুলতে পারেননি। ম্যাচের ১১তম ওভারে অধিনায়ক মোমিনুল হক ও মোহাম্মদ মিঠুন ফেরার পর ১২তম ওভারে ফিরলেন পাঁচ নম্বরে নামা মুশফিকুর রহিম। ব্যাটে লাগিয়ে বোল্ড হলেন তিনি। এক্ষেত্রে বোলার ছিলেন মোহাম্মদ শামি। মোমিনুল, মিঠুন ও মুশফিকুর— প্রত্যেকেই আউট হলেন শূন্য রানে।

১৭ রানে পড়ে গিয়েছিল তিন উইকেট। চতুর্থ উইকেট পড়ল ২৬ রানে। এবং ড্রিঙ্কসের পরই পড়ল পঞ্চম উইকেট। স্কোরবোর্ডে তখন মাত্র ৩৮! বাংলাদেশের হয়ে কিছুটা লড়ছিলেন ওপেনার শাদমান। কিন্তু উমেশের বলে উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহাকে ক্যাচ দিলেন তিনি। ফিরলেন ব্যক্তিগত ২৯ রানে। হলেন উমেশের তৃতীয় শি'কা'র। 

দলীয় ৬০ রানে ফিরলেন মাহমুদুল্লাহ। ইশান্তের বলে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে প্রথম স্লিপের সামনে থেকে তার ক্যাচ ধরলেন ঋদ্ধিমান সাহা। মাহমুদুল্লাহ করলেন মোটে ছয়। এরপর লিটন দাস রিটায়ার্ড হার্ট হলেন। শামির বল হেলমেটে লেগেছিল। পরের ওভারে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হলেন তিনি। তখন তার রান ২৪। আম্পায়ারকে তিনি বললেন যে তার অসুবিধা হচ্ছে। 

২১.৪ ওভারে বাংলাদেশের রান তখন ছয় উইকেটে ৭৩। ফলে, আরও চাপে পড়ল টাইগাররা। আগেই খবর ছিল যে গোলাপি বল দেখতে সমস্যা হচ্ছে লিটনের। ব্যাট করার সময়ও সেটাই তাকে মুশকিলে ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে