স্পোর্টস ডেস্ক : এমনিতেই দর্শক উৎসাহ কম। তারওপর যদি লো স্কোরিং ম্যাচ হয়, তাহলে কি হবে? আয়োজনটাই না মাঠে মা'রা যায়! এমন শ'ঙ্কা কিন্তু ছিল। কারণ, শেরে বাংলার উইকেট যে ঠিক টি-টোয়েন্টি উপযোগি নয়।
হোম অব ক্রিকেটের পিচ বরাবরই স্লো। লো। বল দেরিতে ব্যাটে আসে। বাউন্সও থাকে কম। কাজেই হাত খুলে খেলা কঠিন। ফ্রি-স্ট্রোক প্লে, বিগ হিট নেয়াও সহজ কম্ম নয়।
আর তাই ইতিহাস জানাচ্ছে আগেরবার প্রথম ম্যাচের স্কোর লাইন ছিল খুব দূ'র্ব'ল। শেষ আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে রংপুর অলআউট হয়ে গিয়েছিল মাত্র ৯৮ রানে। আর ওই ছোট্ট টা'র্গে'ট তাড়া করতে চট্টগ্রামকে খেলতে হয়েছিল শেষ ওভার পর্যন্ত।
এবার অবশ্য ভিন্ন চিত্র। প্রথম ম্যাচে মোহাম্মদ মিঠুনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সিলেট ১৬২ রানের ল'ড়া'কু পুঁজি গড়েও হেরেছে ৫ উইকেটে। খেলা শেষ হয়েছে ৬ বল আগে। আর দ্বিতীয় ম্যাচে লঙ্কান দাসুন শানাকার উ'ত্তা'ল উইলোবাজিতে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের রান গিয়ে ঠেকলো ১৭৩-এ।
ফল যাই হোক আর যেই জিতকু না কেন, চট্টগ্রাম-সিলেটের প্রথম ম্যাচের হিরো দুই বাংলাদেশি উইলোবাজ ইমরুল কায়েস (৩৮ বলে ৬১) আর মোহাম্মদ মিঠুন (৪৮ বলে ৮৪)। পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান না হয়েও সন্ধ্যায় রংপুর আর কুমিল্লা ম্যাচের নায়ক দাসুন শানাকা।
সংখ্যায় যত কমই থাকুক না কেন, এ তিনজনের উত্তাল উইলোবাজি মাঠে উপস্থিত হাজার চারেক দর্শক প্রাণ ভরে উপভোগ করেছেন। টিভির পর্দায় যারা খেলা দেখতে বসেছিলেন তারাও চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি দেখে মোটামুটি সন্তুষ্ট।
সন্তুষ্ট হবারই কথা। শেরে বাংলায় আজ যে দুটি ম্যাচ হয়েছে, তা আর যাই হোক রান খরায় ভোগেনি। সিলেট ও চট্টগ্রাম ম্যাচে ছক্কা হয়েছে ১৬টি (চট্টগ্রাম ব্যাটসম্যানরা হাঁকিয়েছেন ১০টি, সিলেটের ব্যাটসম্যানরা ৬টি)। আর সিলেটের ব্যাট থেকে এসেছে ১৩ বাউন্ডারি। চট্টগ্রামের বাউন্ডারি ছিল ৮ টি।
পরের খেলায় রীতিমত ছক্কা ও বাউন্ডারি বৃষ্টি। কুমিল্লার ব্যাটসম্যানরা হাঁকিয়েছেন ১৭টি বাউন্ডারি। ছক্কা মেরেছেন ১০টি। তার মধ্যে ৯টি একাই হাঁকিয়েছেন কুমিল্লার অধিনায়ক লঙ্কান অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা।
মিঠুন, ইমরুল ও শানাকারা যতই চার ও ছক্কার ফুলঝুড়ি ছুটিয়ে মাঠ গরম করেন না কেন, এবারের বিপিএলের প্রথম দিনের আসল হিরো হলেন শেরে বাংলার কিওরেটর গামিনি ডি সিলভা। গত কয়েক বছর টি-টোয়েন্টির আদর্শ উইকেট তৈরি করতে চ'র'ম ব্য'র্থ গামিনি ডি সিলভা আজ ঘোচালেন।
দেখিয়ে দিলেন, নাহ! আমিও পারি টি-টোয়েন্টির আদর্শ উইকেট তৈরি করতে। যেটা টিপিক্যাল শেরে বাংলা পিচ হবে না। বল থেমে আসবে না। নিচুও থাকবে না। ব্যাটে আসবে। বাউন্সেও স্থিতি থাকবে। যাতে ব্যাটসম্যানরা স্বচ্ছন্দে খেলতে পারবেন। রানও উঠবে।