স্পোর্টস ডেস্ক : বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) উৎসবমুখর পরিবেশে খুলনা ক্লাবে হিন্দু রীতি অনুসরণে সৌম্য সরকার ও প্রিয়ন্তি দেবনাথ পূজার বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।
রাত ৮টায় ঢাক-ঢোল বাজিয়ে বরপক্ষ আসে খুলনা ক্লাবে। সেখানে নানারকম ফুল ছিটিয়ে তাদের বরণ করা হয়। এদিকে, রাত ১০টায় অভিজাত খুলনা ক্লাবে দুই পরিবারের মিলন মেলার ভিড়ে মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে শুরু হয় হট্টগোল।
সৌম্যর বাবা কিশোরী মোহন সরকার, বরযাত্রী শিল্পপতি দ্বীনবন্ধু মিত্র ও সৌম্যর বন্ধু অলিসহ সৌম্যর স্বজনদের সাতটি মোবাইল চুরি হয়। এ সময় সৌম্যর মেঝ ভাই ইনকাম ট্যাক্সের ডেপুটি কমিশনার প্রণব কুমার সরকার খুলনা ক্লাবের কর্মচারীদের মোবাইল চুরির বিষয়ে অবহিত করেন। পরে চোর শনাক্ত করতে যান। চোরের পক্ষ হয়ে ক্লাবের কয়েকজন কর্মচারী ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। প্রণব ও অলিদের ওপর ক্লাবের কর্মচারীরা দফায় দফায় হা'মলা চালান। এতে তারা আহ'ত হন। প্রায় আধা ঘণ্টা থমকে যায় পুরো বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। তখন সাত পাকে ঘুরছিলেন বর সৌম্য। যে কারণে তিনি উঠে আসতে পারেননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মোবাইল চুরি হওয়ার পর হারানো মোবাইল নম্বরে কল দেন সৌম্যের স্বজনরা। তখন একজনের কাছে মোবাইল বেজে উঠে। তাকে আট'ক করে ত'ল্লাশি করে তার কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে গন্ডগোলোর সূত্রপাত হয়।
সৌম্য সরকারের মামা স্বদেশ কুমার সরকার বলেন, প্রচন্ত ভিড়ে গেট থেকে ঢোকার সময় দ্বীনবন্ধু মিত্রের মোবাইল চুরি হয়ে যায়। এরপর সৌম্যর বাবা, বন্ধু অলিসহ বর যাত্রীদের সাতটি মোবাইল চুরি হয়। চোরদের হাতে নাতে ধরে ফেললে খুলনা ক্লাবের কর্মচারীরা আমাদের ওপর হা’মলা করেন।
ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম বাহার বুলবুল বলেন, মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে খুলনা ক্লাবের স্টাফ ও বরযাত্রীর লোকদের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে। সেখানে কাউকে মা'রধ'রের ঘটনা ঘটেনি। তবে ভিড়ের মধ্যে কারো গায়ে একটু ধা'ক্কা লাগতে পারে। দুই মোবাইল চোর থানায় আ'ট'ক রয়েছেন। তাদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল ফোন উ'দ্ধার করা হয়েছে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।