স্পোর্টস ডেস্ক: একদিকে অভাবের তাড়না। অন্যদিকে কোভিড-১৯ থেকে বড় শিক্ষা পাওয়া। তাই নতুন জগৎ দেখার সুযোগ পেয়ে গেলেন প্রশান্ত ঘোষ। সিএবি’তে নম্বর ওয়ান গ্রেডের আম্পায়ার দু’বছর আগেও তিনি সিএবি লিগে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলিয়েছেন। আউটডোরের সঙ্গে ইনডোর ক্রিকেটেও তার ডাক পড়তো সকলের আগে। অথচ আজ অভাবে সংসারে তাঁকে নেমে পড়তে হয়েছে বাজারে। কখনও বিক্রি করছেন সবজি, কখনও বা ফল। আম্পায়ার প্রশান্ত ঘোষের এটাই আপাতত দিনান্তের ঠিকানা।
সিএবি ১৫ হাজার টাকা প্রত্যেক আম্পায়ারকে দিয়েছে। নিয়ম হল,মৌশুম শেষে আম্পায়ারদের খেলানোর হিসাব কষে অর্থ মিটিয়ে দেওয়া। এবার যেহেতু মৌশুম মাঝপথে ভেস্তে গিয়েছে তাই হিসাবও হয়নি। তাই বলে চারটে পেট থেমে থাকবে কেন? স্ত্রী ও দুই সন্তানের বাবা প্রশান্ত তাই নেমে পড়েছেন বাজারে।
বারুইপুরের অদূরে শিখরবালি গ্রামের বাসিন্দা প্রশান্তবাবু বলেন, প্রথমদিকে একটু কষ্ট হচ্ছিল। গ্রাম থেকে কাঁচা আনাচ সংগ্রহ করে বারুইপুরের কাছারি বাজারে বিক্রি করতাম। এখন লিচু উঠেছে। তাই নিয়ে বসে পড়ছি। আরে বাবা সংসার চালাতে হবে তো। কী আর করা যাবে।
বাংলার ক্রিকেট সংস্থা ঘরোয়া লিগ খেলালে ম্যাচপিছু দেয় ১৬৫০ টাকা। আগে সারা মৌশুমে ১২০ থেকে ১২৫ দিন সাদা পোশাক পরার সুযোগ পেতেন। প্রতি বছর এখন পরীক্ষা দিয়ে প্যানেলে নতুন সব আম্পায়ার চলে আসছেন। ফলে খেলানোর সংখ্যা কমছে প্রতিষ্ঠিত আম্পায়ারদের।
প্রশান্তবাবু বলেন, গত দু-তিন বছর ৭০ থেকে ৭৫টা ম্যাচ খেলানোর সুযোগ পাই। এমনিতেই রোজগারের অর্থ কম ছিল। কিন্তু টিকেছিলাম ইনডোর ক্রিকেটের জন্য। ই-মল, বৈশাখী মল, স্প্রিংক্লাবসহ এই শহরে প্রচুর জায়গায় ইনডোর ক্রিকেট হয়। এখানে ভালো আয় হতো। এবার তাও বন্ধ। সবকিছু যেন সামনে থেকে হারিয়ে যেতে লাগল। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।