শুক্রবার, ০৩ জুলাই, ২০২০, ০২:৩৩:১২

কে মা'রল রুবেলের হরিণ

কে মা'রল রুবেলের হরিণ

স্পোর্টস ডেস্ক : বাগেরহাটে নিজ বাড়ির অদূরে পৌরসভা পার্কটি স্থানীয় সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের নন্দিত পেসার রুবেল হোসেন। পৌর পার্ক হলেও চিত্তবিনোদনের অনেক আয়োজনই সেই পার্কে আছে। বাচ্চাদের ট্রেন, ১০টি রাইড, দোলনা, লেক, ঘের, বসার জায়গা। অর্থাৎ চিরাচরিত পৌর পার্কের মতো নয়। এর মধ্যেও ব্যতিক্রম এক আয়োজন আছে। আর সেটি হলো পার্কের হরিণ। পার্কের ভেতরে একটি খামারের মতো করে পৌর পার্কের দর্শনার্থীদের বাড়তি আনন্দ দিতে চারটি হরিণ এনেছিলেন রুবেল। তাছাড়া হরিণ তারও ভীষণ প্রিয়।

বেশ কিছুদিন হলো দু’টি মা হরিণ দু’টি শাবক প্রসব করেছে। একটি ছেলে ও একটি মেয়ে। ফলে চার থেকে সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ছয়ে। এতে করে রুবেলেরও খুশির অন্ত ছিল না। তিনিও স্বপ্ন বুনতে শুরু করেন, এভাবেই হয়ত একদিন সংখ্যাটি বেড়ে অনেক হবে। পার্কের দর্শনার্থীরাও তা বিমোহিত নেত্রে দেখবেন।

কিন্তু আচ'মকাই যেন তাকে স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনায় পেয়ে বসল। কেননা আজ একটি হরিণ শাবক মা'রা গিয়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে জানতে পারেন ছেলে শাবকটির দেহে প্রাণ নেই। খামারের এক কোণে নিস্প্রাণ পড়ে আছে। রুবেলের তো মাথায় হাত! কেননা দুটির মধ্যে ছেলে শাবটিই বড়। তাছাড়া অল্প সময়ের মধ্যেই তরতর করে বেড়ে উঠেছিল। রুবেলের সঙ্গে তার সখ্যতাও গড়ে উঠেছিল বেশ।

সেই শাবকটিই কিনা মা'রা গেল! কি করে হলো? কে মা'রল? না, এখনই তিনি কিছু বলতে পারছেন না। তবে ধারণা করছেন বিষা'ক্ত শাপের ছোবলেই প্রিয় শাবটি মা'রা যেতে পারে। সেটা নিশ্চিত করতে তিনি স্থানীয় প্রধান পশু চিকিৎসককে ডেকেছেন। তিনি এলেই মৃ'ত্যুর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।

বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দুপুরে পেশাগত প্রয়োজনে রুবেল হোসেনের মুঠোফোনে ফোন দিলে ওপাশ থেকে তাকে বিচলিত শোনায়। কতশত বারই তো তার সঙ্গে কথা হয়েছে। কিন্তু এমনতো কখনো মনে হয়নি। তাহলে আজ কেন? কোন বিপদ হলো না তো? এভাবে মু'র্ষে পড়লেন কেন তিনি?

যা ধারণা করা হয়েছিল বাস্তবে হলও তাই। ফোনের ও প্রান্ত থেকে লাল সবুজের অভিজ্ঞ এই পেসার বললেন, ‘মনটা ভালো নেই ভাই। আমার খামারের একটি হরিণ মা'রা গিয়েছে।’ প্রতিবেদকও কিছুটা চমকে যান। আপনার হরিণের খামার আছে!’ প্রত্যুত্তরে রুবেল জানালেন, ‘আলাদা করে খামার করিনি। বাগেরহাট পৌরসভা পার্কটি আমি লিজ নিয়েছি। সেই পার্কের ভেতরে চারটি হরিণ নিয়ে একটি খামার করেছি। ভেবেছি আহামরি তেমন কিছুই তো এখানে নেই। হরিণ থাকলে মানুষ আসবে, একটু আনন্দও পাবে। তাছাড়া আমারও হরিণ ভীষণ পছন্দের প্রাণী। কিছুদিন আগে দুটি হরিণ ‍দু’টি বাচ্চা দিয়েছে। একটি ছেলে, একটি মেয়ে। আজ সকালে দেখি ছেলে হরিণটি নেই।’

কী করে হলো জানতে পেরেছেন? কিছুটা নিচু গলায় জানালেন, ‘বুঝতে পারছি না কি করে হলো, সাপে কাম'ড় দিল না কি? এখানে স্টাফ রাখা আছে। তারা ধারণা করছে বি'ষাক্ত সাপের কা'মড়েই মা'রা গেছে।’ রুবেল বলছেন আর উদভ্রান্তের মতো খামারের দিকে ছু'টছেন। খানিকবাদে বললেন, ‘ভাই ডাক্তার এসেছে। আমি খামারের দিকে যাচ্ছি দেখি উনি কি বলেন?’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে