স্পোর্টস ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কোচিং করাতে এসে ন'জর কাড়েন পল নিক্সন। দলের সাফল্যের পাশাপাশি ইংল্যান্ডের এই কোচের পেশাদারিত্ব আর ব্যবস্থাপনায় মুগ্ধ হয়েছিলেন অনেকেই। সেই নিক্সনকে হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের কোচ হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
নিক্সন সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় নতুন কোচের সন্ধানে নামে বোর্ড। বেশ চিন্তাভাবনার পর এই ইউনিটের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন এতদিন এইচপির বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করা চম্পকা রমানায়েকে।
গত ডিসেম্বরে এইচপির প্রধান কোচের পদ থেকে অব্যাহতি নেন সাইমন হেলমট। তিন বছরের বেশি সময় কাজ করে হুট করেই দায়িত্ব ছাড়েন ‘পারিবারিক’ কারণে। এরপর থেকেই এইচপির প্রধান কোচের আসন ফাঁকা।
জাতীয় দলের জন্য নতুন ক্রিকেটার তুলে আনার ক্ষেত্রে এইচপির রয়েছে উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। এই দলে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন সাবেক লঙ্কান ক্রিকেটার চম্পকা। এমনকি জাতীয় দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে কাজেরও অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। মুস্তাফিজুর রহমান, এবাদত হোসেনের মত বোলাররা পেয়েছেন তার দীক্ষা। তরুণ পেসারদের নিয়ে ক্যাম্পও করেছেন। মোটকথা- পেসারদের তুলে আনার ক্ষেত্রে তার প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে। অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিয়ে তাকেই এইচপির প্রধান কোচের স্থায়ী আসনে বসাতে চাইছে বিসিবি।
চম্পকাকে নতুন দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে শীর্ষস্থানীয় দৈনিক সমকালের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এইচপির চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের উদ্বৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘চম্পকা অনেক দিন ধরেই কাজ করছেন। ক্রিকেটারদের সম্পর্কে তার জানাশোনাও ভালো। পাপন ভাইয়ের (নাজমুল হাসান পাপন) সঙ্গে কথা বলে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।’
২০১৭ সালে বিসিবি হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের বোলিং কোচ হিসেবে কাজ শুরু করেন চম্পকা। তবে বাংলাদেশে কোচিংয়ের সম্পর্কটা অনেক পুরনো। ২০০৮ সালে জাতীয় দলের প্রথম পেস বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ২০১০ সাল পর্যন্ত কাজ করেছিলেন শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তী লাসিথ মালিঙ্গার কোচ হিসেবে খ্যাত চম্পকা।