সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২০, ১১:১২:৪৭

তামিম একাদশকে ৪ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টে টিকে রইলো মাহমুদউল্লাহ একাদশ

তামিম একাদশকে ৪ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টে টিকে রইলো মাহমুদউল্লাহ একাদশ

স্পোর্টস ডেস্ক : বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে হারলেই বাদ এমন ম্যাচে তামিম একাদশকে ৪ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টে টিকে রইলো মাহমুদউল্লাহ একাদশ। এ জয়ে জমে উঠল টুর্নামেন্ট। কেননা ফাইনালে কোন দুদল যাবে সেটা নিশ্চিত হতে অপেক্ষা থাকল গ্রুপ পর্বের শেষ পর্যন্ত।

এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে রুবেলের অগ্নি ঝরা বোলিংয়ের পরও নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান সংগ্রহ করে তামিম একাদশ। জবাবে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও তরুন মাহমুদুল হাসান জয়ের ফিফটিতে ৪ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় মাহমুদউল্লাহ একাদশ।

জবাবে ব্যাটিংয়ে আজও ব্যর্থ মাহমুদউল্লাহ একাদশের দুই ওপেনার নাইম শেখ ও লিটন দাস। প্রথম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৮ রানে নাইমকে বোল্ড করেন সাইফুদ্দিন। পরের ওভারের প্রথম বলেই লিটন দাসকে ফেরান মোসাদ্দেকের তালুবন্দি করে ফেরত পাঠান মোস্তাফিজ।

শুরুর ধা'ক্কা কা'টিয়ে এরপর তরুণ মাহমুদুল হাসানকে নিয়ে দারুণ জুটি গড়েন ইমরুল কায়েস। ৮৪ রানের দারুণ জুটি গড়ে এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। কিন্তু ফিফটির খুব কাছে গিয়েও ১ রান দূরে থেকে আউট হন ইমরুল। খালেদ আহমেদের বলে মাহাদীর তালুবন্দি হওয়ার আগে ৫৫ বলে ৭ বাউন্ডারিতে করেন ৪৯ রান।

ইমরুল ব্যর্থ হলেও ফিফটি তুলে নিয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়। ৮৬ বলে ৬ চারে ফিফটি ছুঁয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। চলতি টুর্নামেন্টে এটি কোন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের প্রথম ফিফটি। । যদিও এরপর বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি তিনি। ফেরেন ৫৮ রান করেই। এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দারুণ ফিফটি তুলে নিয়ে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন। ৮৭ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৬৭ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ের খুব কাছে থাকতে বিদায় নেন রিয়াদ। তবে ২৬ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন সোহান।

এর আগো মিরপুরে আগে ব্যাট করতে নেমে এদিনও ব্যর্থ তামিম একাদশের দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও তামিম ইকবাল। রুবলের বলে স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা মোহাম্মদ নাইম শেখকে ক্যাচ দিয়ে মাত্র ১ রানে করে ফিরেন তানজিদ। এর পরপর ১৩ বলে ২ চারে ৯ রান করা অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবালকে ফেরান আবু হায়দার রনি।

দাঁড়াতে পারেননি বিজয়। ৯ বলে ১ রান করে রুবেল হোসেনের বলে মাহমুদুল হাসানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ব্যর্থ মিঠুনও। রুবেলের তৃতীয় শিকার হয়ে ৯ বলে ২ রান করে ফিরেন মিঠুন। তবে ১৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে যখন বিপাকে তামিম একাদশ। তখন দলের হাল ধরেন ইয়াসির আলী ও মাহিদুল হাসান অঙ্কন।

দু’জনে ১১১ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়লে রান আউটের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন ইয়াসির। প্যাভিলিয়নের পথ ধরার আগে ৮২ বলে ৬২ রান করেন তিনি। যেখানে হাঁকান ৫টি চার ও ১টি ছক্কা। এর পরপর বিদায় নেন অঙ্কনকেও। ৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১১০ বলে ৫৭ রান করেন অঙ্কন।

ইয়াসির-অঙ্কন ফিরলে সপ্তম উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। শেষ দিকে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় মোসাদ্দেক ৩৯ বলে ৪০ রান এবং ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় সাইফউদ্দিন ২৯ বলে ৩৮ রান করলে তামিম একাদশের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ২২১ রানে।
মাহমুদউল্লাহ একাদশের হয়ে রুবেল হোসেন ৪টি, এবাদত হোসেন ৩টি ও আবু হায়দার রনি ১টি উইকেট শি'কার করেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর–
তামিম একাদশঃ ২২১/৮ (৫০)
ইয়াসির ৬২ (৮১), অঙ্কন ৫৭ (১১০)
রুবেল ৪/৩৪, এবাদত ২/৬০।

মাহমুদউল্লাহ একাদশ ২২২/৬(৪৯.১ ওভার)
মাহমুদউল্লাহ ৬৭, মাহমুদুল হাসান জয় ৫৮
সাইফুদ্দিন ৩/৪৯, তাইজুল ১/৪০

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে