শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২০, ১০:১৬:৩৪

এবার আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন বাংলাদেশের কোচ ডোমিঙ্গো!

এবার আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন বাংলাদেশের কোচ ডোমিঙ্গো!

স্পোর্টস ডেস্ক: ব্যাটসম্যানরা ভালো করতে পারেননি। তবে প্রেসিডেন্টস কাপে আলো ছড়িয়েছেন বোলাররা। আলাদা করে বলতে হয় পেসারদের কথা। তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন, খালেদ আহমেদের মতো পেসারদের সামনে রীতিমত ধুঁকতে দেখা গেছে ব্যাটসম্যানদের। যা সামনে থেকে দেখে উচ্ছ্বসিত জাতীয় দলের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো।

বড় দলগুলোর প্রতিটিরই একজন স্ট্রাইক বোলার থাকে। যখনই উইকেটের দরকার পড়ে, ওই বোলারের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক। কিন্তু বাংলাদেশের বেলায় নির্দিষ্ট এমন কোনো পেসার নেই। তাই অধিনায়ককে ম্যাচে চাপের মুহূর্তে দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়।

তবে ডোমিঙ্গো এবার আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন। ইংল্যান্ডের জোফরা আর্চার, দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা, অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক কিংবা ভারতের জাসপ্রিত বুমরাহর মতো পেসার বাংলাদেশও পেয়ে যাচ্ছে, মনে করছেন জাতীয় দলের হেড কোচ।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডোমিঙ্গো বলেন, ‘আমি যা দেখলাম (পেসারদের), তাতে ভীষণ উচ্ছ্বসিত। আপনারা দেখেছেন তাসকিন (আহমেদ) কিভাবে বল করেছে। প্রতিটি আন্তর্জাতিক দলেরই সাদা বলের ক্রিকেটে একজন ফাস্ট বোলার থাকে, যখন উইকেটের দরকার হয় তাকে ডাকা হয়। ইংল্যান্ড ডাকে জোফরা আর্চারকে, দক্ষিণ আফ্রিকা রাবাদাকে, অস্ট্রেলিয়া স্টার্ককে আর ভারত ডাকে বুমরাহকে। দেখে ভালো লাগছে যে আমাদের হাতেও কিছু অপশন আছে এখন, ম্যাচ টাইট হলে যাদের দ্রুতগতিতে বল করার জন্য ডাকা যাবে। তাসকিন কিংবা খালেদের মতো বোলাররা বাউন্সের মাধ্যমে এক-দুজনকে আউট করে দিতে পারবে।’

দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ যোগ করেন, ‘আমার জন্য এটা খুবই আনন্দদায়ক ব্যাপার। যদি এই ওয়ানডে টুর্নামেন্ট থেকে (প্রেসিডেন্টস কাপ) আমরা কিছু পেয়ে থাকি, তবে সেটা ফাস্ট বোলারদের পারফরম্যান্স। মিডিয়া আর সমর্থকরা খুবই আনন্দিত হবেন, কারণ আমরা একমাত্রিক দল চাই না; বিশেষ করে যখন দেশের বাইরে খেলতে যাই। যদি তারা ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা কঠিন করে তুলে, তবে দারুণ ব্যাপার হবে। যদি ম্যাচ জিততে হয়, আপনাকে ১০ বা ২০ উইকেট নিতে হবে।’

পেসাররা করোনার মধ্যে বিরতির সময়টায়ও নিজেদের যেভাবে প্রস্তুত করেছেন, তার উচ্ছ্বসিত প্রশংসাই করলেন ডোমিঙ্গো। তিনি বলেন, ‘তারা গত ছয়-সাত মাসে যে পরিমাণ কাজ করেছে, আমি প্রশংসা করলেও কম হবে। তাসকিনের অবস্থা দেখুন, দেখুন রুবেল কেমন করছে। খালেদ কিভাবে বড় একটা ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছে। এই ছেলেরা তাদের ফিটনেসের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে। আমরা শুধু তাদের স্কিল বাড়ানোর চেষ্টা করছি, যাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্ম করতে পারে।’

ডোমিঙ্গো আলাদা করে প্রশংসা করেছেন তরুণ পেসার শরিফুল ইসলামের। যুব বিশ্বকাপজয়ী বাঁহাতি এই পেসারকে নিয়ে কোচ বলেন, ‘তাকে আরও কিছু কাজ করতে হবে। বাঁহাতিদের বিপক্ষে বল সুইং করানোর ব্যাপারটা বলা হয়েছে। তার বলে ভালো পেস এবং বাউন্স আছে। সে আসলে হৃদয়গ্রাহী। সবসময়ই হাসতে থাকে, শিখতে চায়। তরুণ ফাস্ট বোলারের যেটা বেশ ভালো একটা গুণ।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে