বৃহস্পতিবার, ০৪ মার্চ, ২০২১, ১০:৫২:০৯

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো টানা ৭ ছক্কা হজমের ‘রেকর্ড!

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো টানা ৭ ছক্কা হজমের ‘রেকর্ড!

স্পোর্টস ডেস্ক : এক ম্যাচেই হ্যাটট্রিক আর এক ওভারে ছয় ছক্কা হজমের অভিজ্ঞতা হয়েছে লঙ্কান স্পিনার অকিলা ধনঞ্জয়ার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-২০ ম্যাচে এক ওভারের ব্যবধানে এমন অম্ল-মধুর স্বাদ পেয়েছেন ধনাঞ্জয়া। মাত্রই আগের ওভারে পেলেন ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা, এরপরের ওভারে কাইরন পোলার্ডের কাছে হজম করলেন ছয় ছক্কা। খেলার ফলাফল নির্ধারিত হয়ে যায় সেই ওভারেই। তাতে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিটা ৪ উইকেটে জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল উইন্ডিজ।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ১৩২ রানের লক্ষ্য দেয় শ্রীলঙ্কা। প্রথম তিন ওভারেই দুই ওপেনার লেন্ডল সিমন্স আর এভিন লুইসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪৮ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। পরের ওভারে আক্রমণে এসেই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন ধনাঞ্জয়া। ওভারের দ্বিতীয় বলে তিনি ফেরান এভিন লুইসকে। তুলে মারতে গিয়ে দানুশকা গুনাথিলাকার হাতে ক্যাচ দেন লুইস। পরের বলেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন ক্রিস গেইল। হ্যাটট্রিক বলে ধনাঞ্জয়ার শিকার হন নিকোলাস পুরান। বল পুরানের ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকওয়েলার হাতে।

এরপর পোলার্ড যখন উইকেটে এলেন, শ্রীলঙ্কা তখন রীতিমতো চালকের আসনে। ধনাঞ্জয়ার ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি হ্যাটট্রিকটা তুলে নেওয়ার পরের ওভারে আরেক ওপেনার লেন্ডল সিমন্সকে ফেরান হাসরাঙ্গা ডি সিলভা। ১৩২ রান তাড়া করতে নেমে ৬২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিল উইন্ডিজ।

‘আক্রমণই সেরা রক্ষণ’ নীতিতে পরের ওভারে বোলিংয়ে আসা ধনাঞ্জয়ার ওপর চড়াও হন পোলার্ড। প্রথম বলটা আছড়ে ফেলেন লং অন দিয়ে। দ্বিতীয় বলটা সীমানাছাড়া হয় বোলারের মাথার ওপর দিয়ে। তৃতীয় আর চতুর্থ বলে লং অন আর মিড উইকেটের ওপর দিয়ে আছড়ে ফেলেন সীমানার ওপারে। পঞ্চম বলে যেন দ্বিতীয় বলের পুনরাবৃত্তিই ঘটল। আর শেষ বলটা মিড উইকেটের ওপর দিয়ে যখন সীমানাছাড়া করলেন। হার্শেল গিবস ও যুবরাজ সিংয়ের পর মাত্র তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টানা ছয় ছক্কার নজির গড়লেন পোলার্ড। এর আগে ২০০৭ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের ফন বাঞ্জের এক ওভারে ৩৬ রান নিয়েছিলেন গিবস, সে বছরই প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট ব্রডকে এক ওভারে ছয়বার সীমানাছাড়া করেছিলেন যুবরাজ।

তবে ধনাঞ্জয়ার যন্ত্রণা শেষ হয়নি এখানেই। পরের ওভারের প্রথম বলেও হজম করেছেন ছক্কা। ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো টানা সাত ছক্কা হজমের ‘রেকর্ড’ও হয়ে যায় তার।

১৩২ রানের মামুলি লক্ষ্যে যদি কোনো দল ৭ বলেই পায় ৪২, লক্ষ্য তাড়ায় বেগ পেতে হয় না আর। উইন্ডিজকে আর সমস্যা পড়েতেও হয়নি। পোলার্ড আর ফাবিয়ান অ্যালেনকে পরপর দুই বলে হারানোর পরও জেসন হোল্ডার আর ডুইন ব্রাভোর দৃঢ়তায় মাত্র ১৩ ওভারেই ৪ উইকেটের সহজ জয় তুলে নেয় দলটি।

এর আগে ধানুষ্কা গুনাথিলাকাকে শুরুতে হারানোর পরও শ্রীলঙ্কা শক্তপোক্ত একটা ভিত পায় নিরোশান ডিকওয়েলা আর পুথাম নিশাঙ্কার কল্যাণে। তাদের ৫০ রানের জুটিতে দশম ওভারেই ৭১ রান তুলে ফেলে শ্রীলঙ্কা। তবে এরপর উইন্ডিজ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে সংগ্রহটাকে আর বড় করতে পারেনি সফরকারীরা, ৯ উইকেট হারিয়ে থামে ১৩১ রানে। পোলার্ডের কল্যাণে যে লক্ষ্য তাড়া করতে সমস্যাই হয়নি স্বাগতিক উইন্ডিজের। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আগামী ৬ মার্চ আবার মুখোমুখি হবে দুই দল।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে