শেষ পর্যন্ত শিরোপা নিয়েই দেশে আসছেন বাংলার দামাল ছেলেরা। তবে শামীমের অবদান অনস্বীকার্য। ব্যাটিংয়ের সময় কী ছিল তার মনে? দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরে কেমন লাগছে? নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে শামীম বলেন, ‘গত ম্যাচে শেষ করতে পারিনি। তাই মনে রেখেছিলাম, সুযোগ পেলে আমার লক্ষ্য থাকবে ম্যাচ শেষ করে আসার। আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো লাগছে যে সেই সুযোগটা পেয়ে সফলও হয়েছি।’
সবে যুবদল (অনূর্ধ্ব-১৯) থেকে জাতীয় দলে। এর মধ্যে ঘরোয়া ক্রিকেটেও অংশ নিয়েছেন। এবারের লিগে আর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি আসরেও শেষ দিকে ‘ক্লিন হিটার’-এর ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে।
তারপরও শামীমের উপলব্ধি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অনেক কঠিন। সেটা স্বীকারও করে নিলেন। তরুণ এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক কঠিন। এতদিন অনূর্ধ্ব-১৯ বা ক্লাব ক্রিকেট খেলেছি। তার চেয়ে আন্তর্জাতিক অনেক কঠিন তা বুঝতে পেরেছি এখানে এসে। শামীম যোগ করেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খারাপ বল কম পাওয়া যায়। বেশিরভাগ সময়ই ভালো বল আসে, সেগুলোই সাহস করে মারতে হয়। দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হয়।’
শামীম জানান, সৌম্য সরকার আর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটিংয়ের সময়ই তার মনে হচ্ছিল দল জিতে যাবে। তিনি বলেন, ‘যখন সৌম্য-রিয়াদ ভাই ব্যাটিং করছিলেন, তখন সব পজিটিভ ছিল আমাদের দিকে। আমি যখন ড্রেসিংরুমে খেলা দেখছিলাম, তখন মনে হচ্ছিল যে আজ জিতব। যেভাবেই হোক আমরা জিতব, ইনশাআল্লাহ।’
অধিনায়ক রিয়াদ তাকে বলেছিলেন ওভারপিছু ১০ রান করে নিতে। আর সেটা করতে প্রতি ওভারে একটি চার না হয় ছক্কা হাঁকালেই হয়ে যাবে। সে পরামর্শ মেনেই খেলেছেন শামীম। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘রিয়াদ ভাই আমাকে বলছিল যে ওভারে ১০ করে আসলে ম্যাচটা সহজে চলে আসবে। একটা বাউন্ডারি বা একটা সিক্স আসলেই হবে। আমি সেই পরিকল্পনা ধরে খেলেছি।’