বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া দুই দলই আজ মোটামোটি একটা প্রস্তুতি সেরে নিয়েছেন। বিকাল ৪ টা বাজতেই একে একে মাঠে প্রবেশ করতে থাকেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা।এদিকে প্র্যাকটিস করার আগে সবাই মূল উইকেট দেখে আসেন। শেরে বাংলার উইকেট দেখে কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার হয়ত ধরেই নিয়েছেন, পিচ হবে স্লো এন্ড লো। তাই নেট প্র্যাকটিসেও স্পিনারদের অগ্রাধিকার চোখে পড়লো।
নেটে ব্যাটসম্যানদের সবাই প্রায় নিজ নিজ ব্যাটিংকে ঝালিয়ে নেন। মোটামুটি সময় নিয়ে ব্যাটিং করেন তারা; কিন্তু ফ্রন্টলাইন পেসারদের কাউকে সেভাবে বোলিং করতে দেখা যায়নি।
মিচেল স্টার্ক আর জশ হ্যাজলউডকে বল হাতে নিতেই দেখা গেলো না। তবে অফস্পিনার অ্যাস্টন টার্নার, বাঁ-হাতি অর্থোডক্স অ্যাস্টন আগার, লেগস্পিনার অ্যাডাম জাম্পাদেরই বেশি সময় বোলিং করতে দেখা গেছে।
প্র্যাকটিসের ধরণই বলে দিচ্ছে, শেরে বাংলার পিচ হতে পারে স্লো এন্ড লো। সেখানে স্পিনারদের বাড়তি সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই তাদেরকেই প্রথমদিন অনুশীলনে বেশি সময় ধরে বল করার সুযোগ দেয়া হয়।
সেটা যে শুধু একটি কারণে, তা নয়। প্রথম হচ্ছে স্পিনারদের বেশি সময় নেটে বোলিং করতে দিলে তারা নিজেদের প্রস্তুতির জন্য বাড়তি সময় পাবেন। তাতে করে ঢাকার কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেয়া তুলনামূলক সহজ হবে।
আবার নেটে পেসারদের বদলে স্পিনাররা বেশি সময় বল করায় ব্যাটসম্যানদেরও স্পিনারদের বিপক্ষে ঢাকার স্লো এবং তুলনামুলক লো উইকেটে ব্যাটিং প্র্যাকটিসটাও ভাল হবে।
একাডেমি মাঠে নেট শেষে সন্ধ্যার পর শেরে বাংলার ফ্লাডলাইটের আলোয় ফিল্ডিং ও ক্যাচিং প্র্যাকটিস করতে ভুল হলো না অসিদের। সব মিলিয়ে সাড়ে তিন ঘণ্টার প্রথম প্র্যাকটিস সেশনটিই বলে দিল, অনেক বেশি সিরিয়াস, সতর্ক ও সাবিধানী টিম অস্ট্রেলিয়া।