বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৭:৪৭:১৩

'ইভ্যালির গ্রাহকরা যেন টাকা ফেরত পায়-সেই বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার'

 'ইভ্যালির গ্রাহকরা যেন টাকা ফেরত পায়-সেই বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার'

ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জ গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করলেও আলেশা মার্ট এখনও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আলেশা মার্টকেও নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তবে ই-কমার্স বন্ধ করা যাবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বর্তমানে ১০ থেকে ১২টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ধামাকা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর আলেশা মার্টকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে হাজার হাজার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান রয়েছে। করোনাকালে ই-কমার্সে ব্যবসা করে শত শত মহিলা নিজেদের সংসার চালিয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারাবাহিকতা ই-কমার্স। ই-কমার্স বন্ধ করা সম্ভব নয়। আগামীতে ই-কামার্স নজরদারিতে রাখবে সরকার।

দেশে ই-কামার্স প্রতিষ্ঠান নিয়ে টিপু মুনশি বলেন, ইভ্যালি প্রতিষ্ঠার পর বিজ্ঞাপনের পেছনে ব্যাপক অর্থ খরচ করেছে। বিভিন্ন খেলাধূলায় বিজ্ঞাপন দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রচারের পেছনে বিপুল অর্থ ব্যয় করে মানুষের সামনে এসেছে। ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের ফান্ডে টাকা নেয়ার সুযোগ নেই। সরকার তো টাকা নেয়নি। একজন স্বস্তায় ৫টি মোটরসাইকেল কিংবা অন্য পণ্য কিনে লাভ করেছে। সেই লাভের ভাগিদার তো সরকার নয়।

তিনি বলেন, সম্পদ ছিল ডেসডিনি, জেলে আছেন। এসব সম্পদের দাম বেড়েছে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের কি পরিমান ক্ষতি পূরণ দেয়া যায়। জেল থেকে বের করে আইনি প্রক্রিয়ায় জেলে আছে। তাদের সম্পদ বিক্রি করে আইন মন্ত্রণালয় দেখবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ডেসটিনির সম্পদ রয়েছে। এই সম্পদ বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্তদের দিতে হলে এর মালিককে লাগবে। কিন্তু সম্পদের মালিক আছেন জেলে। ডেসটিনির মতো প্রতিষ্ঠানের সম্পদ কাজে লাগানো হয়নি। সেগুলো অন্যরা ভোগদখল করছে। অথচ লাখ লাখ গ্রাহক তাদের পাওনা বুঝে পায়নি। ইভ্যালির ক্ষেত্রেও যেন এমনটা না হয়, গ্রাহকরা যেন টাকা যাতে ফেরত পায়-সেই বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে