রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৪:২০:৫২

কাটার মাষ্টারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভারতীয় মিডিয়া

কাটার মাষ্টারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভারতীয় মিডিয়া

আইপিএলে আবারও স্বমহিমায় ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজুর রহমান। দ্বিতীয় পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নির্ধারিত ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান খরচায় তুলে নিয়েছেন মূল্যবান ২টি উইকেট। রাজস্থানের হয়ে সেরা বোলিং পারফরম্যান্স 

এদিকে, মুস্তাফিজের রাজকীয় প্রত্যাবর্তনে রাজস্থানের ড্রেসিংরুম ছাড়িয়ে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমেও। হিন্দুস্থান টাইমস কাটার মাস্টারকে নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। 

এছাড়া ‘দ্য ফিজ’কে নিয়ে কথা বলছেন সতীর্থরাও। যেমন রাজস্থানের পেসার চেতন সাকারিয়া জানালেন, ম্যাচের কোন পরিস্থিতিতে কী করতে হবে মুস্তাফিজ তা সঠিকভাবে ধরতে পারে।
 
২০১৬ সালে আইপিএল অভিষেকেই নিজের জাত চিনিয়েছিলেন। একের পর এক ব্যাটারদের পরাস্ত করে ক্রিকেটবিশ্বকে নিজের আগমনী বার্তা জানান দিয়েছিলেন। সে বছর ১৭টি উইকেট নিয়ে সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জেতেন মুস্তাফিজ।
 
যদিও এরপর কয়েকবছর আইপিএলে খেললেও তেমন ছন্দে ছিলেন না। ২০১৭ সালে মাত্র ১টি ম্যাচ খেলেছিলেন। যদিও কোনো উইকেট পাননি। এরপর ২০১৮ আইপিএলে ৭ ম্যাচ খেলে সমানসংখ্যক উইকেট নেন। আইপিএলের চলতি আসরে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে এরইমধ্যে তিনি ৯ ম্যাচে ১০টি উইকেট নিয়েছেন।

আপাতত বেগুনি টুপির দৌড়ে মুস্তাফিজ রয়েছেন ১৩ নম্বরে। এছাড়া বিদেশি বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিদের তালিকায় তিনি রয়েছেন ৪ নম্বরে। রাজস্থানের আরেক সতীর্থ ক্রিস মরিস নিয়েছেন ১৪টি উইকেট। আফগান তারকা স্পিনার রশিদ খানের দখলে রয়েছে ১১টি উইকেট। রাবাদা নিয়েছেন ১১টি উইকেট।

এদিকে, দিল্লির বিপক্ষে শনিবারের (২৫ সেপ্টেম্বর) ম্যাচে রাজস্থানের হয়ে সেরা বোলিং মুস্তাফিজেরই। প্রথমে দিল্লি অধিনায়ক রিশভ পন্তকে সাজঘরে ফেরান মুস্তাফিজ। এরপর বিধ্বংসী হয়ে উঠা শিমরান হেটমায়ারকেও শিকারে পরিণত করেন তিনি। এদিন ৪ ওভারে ২০ রানের বিনিময়ে ২টি মূল্যবান উইকেট দখল করেন। সন্দেহ নেই আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের আগে আইপিএলের পারফর্ম্যান্স বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে বাংলাদেশের পেসারকে।

এর আগে রাজস্থানের গত ম্যাচে জয়ের নায়ক কার্তিক ত্যাগী হলেও ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশি মুস্তাফিজুর রহমানই। ইনিংসের শেষ ১২ বলে পাঞ্জাবের জেতার জন্য দরকার ছিল মাত্র ৮ রান, মামুলি এক টার্গেট। হেসেখেলেই যা টপকে যাওয়া যায়। অথচ ১৯তম ওভারে বল হাতে ম্যাচটা জমিয়ে দিলেন মুস্তাফিজ। নিজের স্পেলের শেষ ওভার ও ইনিংসের ১৯ তম ওভারে দিলেন মাত্র ৪ রান। 

ম্যাচ শেষে সবাই ত্যাগিকে নিয়ে মাতামাতি, ধারাভাষ্যকক্ষে ঝড় উঠলেও রাজস্থানের অধিনায়ক স্যাঞ্জু স্যামসন মুস্তাফিজকে ভুললেন না। জানালেন, দলের বোলিংয়ে মূল ভরসা মুস্তাফিজকে তিনি স্লগ ওভারের জন্যই রেখে দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে আস্থা ছিল ত্যাগির ওপরও।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে