শনিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২১, ১১:৫৩:৩৩

দীর্ঘদিন পর একজন বিশ্ব মানের লেগ স্পিনার পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ!

দীর্ঘদিন পর একজন বিশ্ব মানের লেগ স্পিনার পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ!

দলে একজন লেগ স্পিনার কতটা জরুরি তা প্রতিটি দলের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডের দিকে তাকালেই দেখা যায়! বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে আসা বাকি ১১ দলে লেগ স্পিনার থাকলেও নেই শুধু বাংলাদেশ দলেই। অথচ বাংলাদেশের সামনে দারুন এক অপশন হতে পারতো আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। মূল স্কোয়াডে জায়গা না দিলেও তাকে সুযোগ দেয়া হয়েছিলো স্ট্যান্ড বাই হিসেবে তবে শেষ পর্যন্ত ঠিকই তাকে ফেরত পাঠানো হলো বাংলাদেশে। অথচ তার অন্তর্ভুক্তি হতে পারতো বাংলাদেশের জন্য এক্স ফ্যাক্টর।  নিউজিল্যান্ডে আছে ইশ সোধি কিংবা আফগানিস্তানে রশিদ খান  টিটুয়েন্টি দলের জন্য লেগ স্পিনাররাই যেন প্রাণ! 

টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে একজন লেগ স্পিনার ছাড়া দল কল্পনা করা যেন প্রায় অসম্ভব। অস্ট্রেলিয়ার দলে আছে অ্যাডাম জাম্পা, পাকিস্তানে আছে সাদাব খান আবার ভারতে আছে রাহুল চাহার যেন তার এক বড় প্রমাণ।

সব দল নিজেদের স্কোয়াডের পূর্নতা এনেছে যেখানে একজন করে লেগ স্পিনার যুক্ত করে। সেখানে বাংলাদেশ সুযোগ থাকা সত্বেও ছেড়ে দিয়েছে একজন দারুন লেগ স্পিনার কে।

অথচ বাংলাদেশ দলে জায়গা পাওয়ার আগে সে ছিলো একজন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ও পার্ট টাইম স্পিনার। শুধু জাতীয় দলের চাওয়ার কারনে তাকে বানানো হয়েছিল লেগ স্পিনার। অথচ সেই দলের চাহিদা কে প্রাধান্য দেয়ার পর ব্যাটসম্যান থেকে বোলারে পরিণত হওয়া খেলোয়ারের কপালে জুটলো না টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াড।

দারুন সম্ভবনা নিয়ে বাংলাদেশ দলে জায়গা পান তিনি। নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক অভিষেকের ম্যাচে ১৮ রান দিয়ে তুলে নেন ২ টি উইকেট। প্রমাণ দিচ্ছিলেন নিজের যোগ্যতার। ভাবা হচ্ছিল দীর্ঘদিন পর একজন বিশ্ব মানের লেগ স্পিনার পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়নি তার। যোগ্যতা থাকা সত্বেও জায়গা হলো না তার।

অথচ পরিসংখ্যান বলে ভিন্ন কথা। আফগানিস্তানের হয়ে টিটুয়েন্টি তে সর্বোচ্চ উইকেট রশিদ খানের যিনি একজন লেগ স্পিনার। অস্ট্রেলিয়ার জ্যাম্পা কিংবা ভারতের সর্বোচ্চ টিটুয়েন্টি উইকেট যুযবেন্দ্র চাহালের যারা লেগ স্পিনার। নিশ্চিত ভাবেই তাই বলা যায় একজন লেগ স্পিনার হতে পারেন বড় এক্স ফ্যাক্টর, গড়তে পারেন বিশাল পার্থক্য। তাই তো সব দলেই রয়েছে অন্তত একজন করে লেগ স্পিনার।

আমিনুল ইসলাম বিপ্লব কে না রাখার পিছনে অদ্ভুত কিছু কারন দেখিয়েছে ম্যানেজমেন্ট। অতিরিক্ত এত খেলোয়ার রাখার নাকি কোনো নিয়ম নেই। অথচ ভারতের দিকে তাকালে দেখা যায় পুরো ঘটনাই একেবারে উলটো। স্ট্যান্ড বাই হিসেবে শুধু ২ জন খেলোয়ারই রাখেন নি তারা, পাশাপাশি নেট বোলার হিসেবে এবারের আইপিএলে অসাধারান করা কয়েকজন খেলোয়ারও সুযোগ দিয়েছেন তারা। 

বাংলাদেশ অবশ্য চাইলেই রাখতে পারতেন আমিনুল কে, তবে কেন তারা রাখলেন না সেই উত্তর তারাই ভালো দিতে পারবেন। আমিনুল কে রাখলে সুযোগ ছিলো না দলের ক্ষতি হওয়ার বরং লাভবানই হত টাইগাররা।

তাকে স্কোয়াডে না রাখলেও অন্তত দলের সাথে রাখলে নেটে তাকে প্র‍্যাকটিস করতে পারতো ব্যাটসম্যানরা যাতে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারত প্রতিপক্ষের জন্য। এখন দেখার বিষয় একজন লেগ স্পিনার ছাড়া কতটা ভালো করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে