চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশ এখন হারের মুখে। জয়ের জন্য আগামীকাল পঞ্চম দিনে পাকিস্তানের প্রয়োজন ৯৩ রান। দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতাই টাইগারদের ডুবিয়েছে। এক লিটন দাস ছাড়া আর কেউ রুখে দাঁড়াতে পারেননি। ইয়াসির আলীর কনকাশন সাব হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামা নুরুল হাসান সোহানের আউটটা (১৫) ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয় বলে মনে করছেন অনেকে। লং অন সীমানায় ফিল্ডার থাকার পরও অফ স্পিনার সাজিদ খানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সীমনায় ধরা পড়েন।
সোহানের এমন কাণ্ডে হতাশ দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। স্রেফ একটি শট হয়তো একটি দিন বা একটি ম্যাচের নিয়ামক হয় না। তবু দিনশেষে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোও তার শিষ্যের এমন কাণ্ডে হতাশ গোপন করেননি। ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ডমিঙ্গো বলেন, 'কখনোই আমি মিডিয়ায় ক্রিকেটারদের সমালোচনা করব না। তবে ওই সময়টায় আমরা কিছুটা মোমেন্টাম পেতে শুরু করেছিলাম। ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রানে এগিয়ে ছিলাম। ওই জুটি আর ৪০-৫০ রান করতে পারলে পাকিস্তানকে চাপে রাখা যেত।'
প্রতিটি ম্যাচ হারের পর 'ভুল থেকে শিক্ষা' নেওয়ার মুখস্ত বুলি শোনা যায়। ডমিঙ্গোর আশা, এই ভুল আর দুইবার করবেন না সোহান, 'সোহানকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, "এই বলে তুমি কি করবে?" আমি নিশ্চিত, সে আর এই শট খেলবে না। অবশ্যই সে নিজেকে হতাশা করেছে ওই সময়ে ওই শট খেলে। আমরা ওই সময় ম্যাচে এগিয়ে ছিলাম। ১৯৬ রানে এগিয়ে ছিলাম, দুজন থিতু ব্যাটসম্যানকে নিয়ে ভালো অবস্থায় ছিলাম আমরা। এভাবে আউট হয়ে সে নিজেকে ও দলকে হতাশ করেছে।'