স্পোর্টস ডেস্ক: আইপিএলে ধারাবাহিক ভাবে ভাল পারফরম্যান্স করে ক্রিকেট দুনিয়ার নজর কেড়ে নিয়েছেন তিনি। ক্রিকেট বিশারদ থেকে শুরু করে আমজনতা, সকলেই তাঁকে জাতীয় দলের জার্সিতে দেখতে চেয়েছিলেন।
সকলের মনবাঞ্ছা পূরণ করে রবিবার ভারতীয় দলে ডাক পেয়েছেন কাশ্মীরের উমরান মালিক। ছেলের সাফল্যে স্বভাবতই খুব খুশি উমরানের বাবা আবদুল রশিদ ।
জম্মু-কাশ্মীরের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসাবে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন উমরান। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে রশিদ জানিয়েছেন, “এলাকার সব মানুষ আমাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে। বাড়িতেও সকলে উদযাপন করছে। আমিও সেখানে যোগ দিতে যাচ্ছি।”
পেশায় ফল বিক্রেতা রশিদ গর্বের সঙ্গে বললেন, “দেশের জার্সি গায়ে খেলার চেয়ে বড় আর কী হতে পারে? আমাদের সকলকে গর্বিত করেছে উমরান।
আইপিএলে ওর পারফরম্যান্স দেখে গোটা দেশের মানুষ উমরানকে সমর্থন করেছিল। আমাদের পরিবার সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।” তিনি আরও যোগ করেন, “পুরো দেশ কে সাপোর্ট মিল মেরে উমরান কো”।
২০২১ আইপিএলেই বিশেষজ্ঞদের নজর কাড়েন উমরান। সেই কারণেই ৪ কোটি টাকা দিয়ে তাঁকে ধরে রাখে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ২০২২ মরশুমে এসে ধারাবাহিক ভাবে দ্রুত গতিতে বল করতে থাকেন উমরান।
১৫৭ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে বল করেন দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে। চলতি আইপিএলের দ্রুততম বল এই ডেলিভারিই । ১৪ ম্যাচে ২২টি উইকেট পেয়েছেন তিনি।
আইপিএল গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচেও বজায় থাকল উমরানের দাপট। পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে যথারীতি আগুন ঝরালেন তিনি। তাঁর বোলিংয়ে পাঁজরে চোট পেলেন বিপক্ষ অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগারওয়াল।
সপ্তম ওভারে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই চোট পান মায়াঙ্ক। ১৪৩ কিমি বেগে বল আছড়ে পড়ে মায়াঙ্কের পাঁজরে। রান নিতে দৌড়লেও স্পষ্ট বোঝা যায় তিনি ব্যথায় কাতরাচ্ছেন। বেশিক্ষণ ব্যাট করতে পারেননি তিনি।
ম্যাচের পরে মায়াঙ্ক জানান, এক্স-রে করতে হবে। জাতীয় দলে উমরানের সুযোগ পাওয়ার পরেই উদযাপন করেছেন তাঁর বাড়ি সংলগ্ন এলাকার মানুষ। নাচ-গান, খাওয়া-দাওয়া করে এই বিশেষ ঘটনাকে স্মরণীয় করে রেখেছেন তাঁরা। সংবাদ প্রতিদিন