বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০২২, ০১:৩৬:১৪

পাটীদারের সাক্ষাৎকার নিলেন কোহলি!

পাটীদারের সাক্ষাৎকার নিলেন কোহলি!

স্পোর্টস ডেস্ক: মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে যিনি সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন তিনি সাধারণত প্রশ্নের জবাব দিয়ে থাকেন। তাঁর উল্টো দিকে আবার যিনি রয়েছেন তিনি হয়তো আইপিএল কেরিয়ারে প্রথম বার সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। 

প্রথম জনের নাম বিরাট কোহলী। দ্বিতীয় জন রজত পাটীদার। আইপিএলের আঙিনায় নিজের প্রথম শতরান করেছেন পাটীদার। প্রথম শতরানের পরেই তাঁর সাক্ষাৎকার এমন এক জন ক্রিকেটার নিচ্ছেন যিনি আইপিএলে সব থেকে বেশি রান ও শতরানের মালিক। 

এটাই হয়তো ক্রিকেট। ইডেন গার্ডেন্সে যখন বেঙ্গালুরুর বড় নামেরা একের পর এক সাজঘরে ফিরলেন তখন দলকে নিজের কাঁধে নিয়ে গেলেন পাটীদার। ম্যাচের নায়ক হওয়ার পরে তাই তাঁর সাক্ষাৎকার নিলেন কোহলী নিজেই।

ম্যাচ শেষে সম্প্রচারকারী চ্যানেলের হয়ে পাটীদারের সাক্ষাৎকার নিতে দেখা যায় কোহলীকে। তাঁর চোখে তখনও বিস্ময় লেগে রয়েছে। 

পাটীদারের ইনিংস নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘পাটীদার সাজঘরে ফেরার পরে ওকে বলেছিলাম, আমি এত বছর ধরে চাপের মধ্যে অনেক ভাল ইনিংস দেখেছি। কিন্তু পাটীদারের মতো ইনিংস কাউকে খেলতে দেখিনি। 

এত বড় ম্যাচে এই শতরান সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। আইপিএলের প্লে-অফে জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়া প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে শতরান করল পাটীদার।’’

প্লে-অফের লড়াইয়ে যে মানসিক চাপ কাজ করে তা বড় ক্রিকেটারদের পক্ষেও সব সময় সামালানো যায় না বলেই জানিয়েছেন কোহলী। সেখানে পাটীদার যে ইনিংস খেলেছে তার প্রভাব অনেক বেশি বলে মনে করছেন তিনি। 

কোহলী বলেন, ‘‘আমি নিজেই খুব চিন্তায় ছিলাম। কারণ এর আগে অনেক ক্ষেত্রে এই পরিস্থিতি থেকে জিতে মাঠ ছাড়তে পারিনি। তাই পাটীদারের ইনিংস আরও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ওর ইনিংস সবাইকে শিক্ষা দিয়ে গেল যে নিজের উপর বিশ্বাস রাখলে ও পরিশ্রম করলে সবাই সফল হতে পারে।’’

তবে শুধু নিজের কথা নয়, ম্যাচের সেরা পাটীদারকে বেশ কয়েকটি প্রশ্নও করেন কোহলী। ডুপ্লেসি আউট হয়ে যাওয়ার পরে যখন পাটীদার ব্যাট করতে নামেন তখন তাঁর মানসিক পরিস্থিতি কী ছিল সেই প্রশ্নের জবাবে পাটীদার বলেন, ‘‘চাপ তো ছিলই। 

কিন্তু নিজের উপর ভরসা ছিল। তাই প্রথম দিকে কিছু বলে রান না পেলেও ক্রিজে টিকে থাকার চেষ্টা করেছিলাম। জানতাম, টিকে থাকলে শেষ দিকে বড় শট খেলতে সুবিধা হবে। এই প্রথম আমি শেষ ওভার পর্যন্ত খেললাম। তাই শেষ দিকে অনেক দ্রুত রান করতে পেরেছি।’’

২০৭ রান করেও শেষ দিকে চাপে পড়ে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন কোহলী ও পাটীদার দু’জনেই। পাটীদার বলেন, ‘‘রাহুল যত ক্ষণ ক্রিজে ছিল তত ক্ষণ কিছুটা চাপ ছিল। খালি প্রার্থনা করছিলাম ও যাতে আউট হয়ে যায়। 

রাহুল আউট হওয়ার পরে অবশ্য চাপ অনেকটা কমে যায়।’’ দলের বোলাররা যে ভাবে বোলিং করেছেন তার প্রশংসা করেন কোহলীও। তিনি বলেন, ‘‘বোলাররা স্নায়ুর চাপ ধরে রাখতে পেরেছে। 

শেষ পর্যন্ত জিতেছি, সেটাই বড় কথা। বৃহস্পতিবার আমদাবাদ যাব। শুক্রবার মাঠে নামতে মুখিয়ে আছি। আশা করছি আরও দুটো ম্যাচ জিততে পারব।’’ কোহলীর চোখে স্বপ্ন। প্রথম বার আইপিএল জেতার স্বপ্ন। যে স্বপ্ন দেখার জোর তিনি পাচ্ছেন পাটীদার, হর্ষল, শাহবাজদের মতো তরুণদের থেকে।-আনন্দবাজার

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে