স্পোর্টস ডেস্ক: WWE চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন ভিন্স মিকম্যান। বয়সের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলে'ঙ্কারি সামনে আসায় এই সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন।
এরপর রেসলিং দুনিয়ার এই সিংহাসনে বসেছেন সাবেক রেসলার ট্রিপল এইচ। তিনি এখন বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় রেসলিং ইভেন্টের রাজা হয়েছেন। তিনি বর্তমানে WWE-র ক্রিয়েটিভ হেড, এর পাশাপাশি তিনি ভিন্স মিকম্যানের জামাইও।
বিশ্বজুড়ে ট্রিপল-এইচের ভক্ত সংখ্যা আকাশছোঁয়া। রেসলিং ছাড়লেও তাঁর ভক্ত সংখ্যায় টান পড়েনি। ৯০-এর দশকের বাচ্চাদের মধ্যে তিনি বেশ জনপ্রিয়। এমন পরিস্থিতিতে, ট্রিপল এইচ-এর প্রোমোশন WWE-র জনপ্রিয়তায় আলাদা মাত্রা যোগ করবে যে তা বলাই যায়।
জেনে নেওয়া যাক অঢেল সম্পদের মালিক ট্রিপল এইচ সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য। ৫২ বছর বয়সী ট্রিপল এইচের আসল নাম পল মাইকেল লেভেস্ক, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাশুয়ার বাসিন্দা। ট্রিপল এইচ পেশাদার রেসলিং থেকে অবসর নিলেও মাঝে মাঝে রেসলিংয়ের রিংয়ে নামতেন।
তবে বয়সের জন্য ও শারীরিক সমস্যার জন্য পুরোপুরি রেসলিংয়ের রিংকে বিদায় জানিয়েছেন। তবে এখন প্রশাসনিক কাজে রয়েছেন তিনি। ট্রিপল এইচ ১৯৯০ থেকে রেসলিং শুরু করেন। তারপর ১৯৯৩ সালে পেশাদার রিংয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। প্রথমে, ট্রিপল এইচ নিজের রিংয়ের নাম দেন টেরা রাইজিং এবং আন্তর্জাতিক রেসলিং ফেডারেশন এর সঙ্গে তার কর্মজীবন শুরু করেন।
এরপর ১৯৯৫ সালে, ট্রিপল এইচ WWF-এ যোগদান করেন এবং তার নাম পরিবর্তন করেন। এখানে তার রিং নাম ছিল হান্টার হার্স্ট হেলমসলে। সেখান থেকে নিজের নাম ট্রিপল-এইচ করেন। অর্থাৎ তার রিং নাম তিনবার পরিবর্তন করেন তিনি। ১৯৯৯ সালে, তিনি তার প্রথম চ্যাম্পিয়নশিপ জেতেন এবং তারপরে তিনি একজন বড় তারকা হয়েছিলেন।
ট্রিপল এইচ ২০০৩ সালে তৎকালীন WWE চেয়ারম্যান ভিন্স মিকম্যানের মেয়ে স্টেফানি মিকম্যানকে বিয়ে করেন। এর কয়েক বছর পর, ট্রিপল-এইচ রিংয়ে প্রবেশ করেন এবং তারপর পুরোপুরি পরিচালনার দায়িত্ব নেন। ট্রিপল এইচ এবং স্টেফনির তিনটি সন্তান রয়েছে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ট্রিপল এইচএর আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮ সালে, তার বার্ষিক বেতন ছিল ৩.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ১ মিলিয়ন ডলার বেতন শুধুমাত্র রেসলিং থেকে পেতেন তিনি। আর বাকিটা আসত ম্যানেজমেন্টের কাজ করার জন্য। ২০২২ সালের শুরুতে, ট্রিপল এইচ-এর মোট সম্পদ ১৫০ মিলিয়ন ডলায় পৌঁছায়।