স্পোর্টস ডেস্ক: আর্থিক অনটনে ভুগছেন। আয়ের জন্য ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হতে চান। এমনই ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলি। ৫০ বছরের কাম্বলি আপাতত পেনশন হিসেবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে মাসিক ৩০ হাজার টাকা পান।
তবে তা দিয়ে সংসার চালানো তার পক্ষে অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে উঠছে। ২০১৯ সালে টি-টোয়েন্টি মুম্বাই লিগে কোচের ভূমিকায় ছিলেন তিনি। তাছাড়া নেরুলে শচীন তেণ্ডুলকারের মিডলসেক্স গ্লোবাল অ্যাকাডেমিতে মেন্টর হিসেবে তরুণ ক্রিকেটারদেরও প্রশিক্ষণ দিতেন।
ফলে আর্থিক মাথাব্যথা তেমন ছিল না। কিন্তু পরবর্তীতে যাতায়াতের সমস্যার জন্য ওই অ্যাকাডেমিতে যাওয়া বন্ধ করে দেন কাম্বলি। কাম্বলিরকথায়, “ভোর ৫টায় উঠে ট্যাক্সিতে ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে যেতাম। খুবই খাটনি হত। তারপর আবার সন্ধ্যায় BKC-র মাঠে কোচিং করাতাম।”
এরপরই যোগ করেন, “আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটার। যার সংসার চলে বিসিসিআইয়ের পেনশনে। তার জন্য আমি বোর্ডের কাছে কৃতজ্ঞ। এই আয় দিয়েই পরিবারের দেখভাল করতে পারে।” কিন্তু বর্তমানে যে হারে নৈনন্দিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, তাতে এই অর্থে সংসার চালানো দুঃসহ হয়ে উঠছে। সেই কারণেই নতুন কাজের খোঁজে কাম্বলি। ক্রিকেট সংক্রান্ত কাজই করতে আগ্রহী তিনি।
সাবেক অলরাউন্ডার বলছেন, “সাহায্যে জন্য আমি মুম্বাই ক্রিকেট সংস্থার মুখাপেক্ষী। তাদের জানিয়েছি, সংসার চালানোর জন্য অর্থের প্রয়োজন। কোনও কাজ থাকলে দিতে। আমার জীবনে মুম্বাই ক্রিকেট সংস্থার অনেক অবদান রয়েছে। তাই তারা কোনও কাজ দিয়ে আবারও আমায় সাহায্য করতে পারে কি না, সেই অপেক্ষাতেই রয়েছি। সভাপতিকেও নিজের অবস্থার কথা জানিয়েছি।”
আর তার ছোটবেলার বন্ধু শচীন? তিনি জানেন বন্ধুর এই অনটনের কথা? দেশের হয়ে ১০৪টি ওয়ানডে ও ১৭টি টেস্ট খেলা কাম্বলি জানালেন, “শচীন সব জানে। কিন্তু ওর থেকে কিছু আশা করছি না। সে আমাকে টেণ্ডুলকার মিডলসেক্স গ্লোবাল অ্যাকাডেমিতে কাজ দিয়েছিল। খুব খুশি হয়েছিলাম। সে এখনও আমার ভাল বন্ধু। সবসময় আমার পাশে দাঁড়িয়েছে।”