স্পোর্টস ডেস্ক: এশিয়া কাপে ব্যর্থতা এখনও পোড়াচ্ছে বাংলাদেশি সমর্থকদের। আসন্ন বিশ্বকাপ দিয়ে কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে ঘুরে দাঁড়াতে প্রত্যয়ী টাইগাররা। তবে ভালো ফলাফল পেতে অস্ট্রেলিয়ার বাউন্সি উইকেটে পেসারদের পারফর্ম সবচেয়ে বেশি জরুরি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সেই লক্ষ্যেই বিশ্বকাপ স্কোয়াডে মোস্তাফিজ, তাসকিনদের সঙ্গে পেস আক্রমণে সঙ্গী হয়েছেন তরুণ হাসান মাহমুদ। মাত্র তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলেই নির্বাচকদের মন জয় করেছেন হাসান।
এরই মধ্যে আলোচনায় চাপের মুখে কেমন খেলে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা? এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাকিস্তানের ১৯ বছর বয়সি পেসার নাসিম শাহের দুই ছক্কায় অবিস্মরণীয় ম্যাচ জেতানোর পর বিষয়টি আরো বেশি করে আলোচনায় এখন।
স্বীকৃত ব্যাটার না হয়েও হেরে যাওয়া ম্যাচ দুই ছক্কায় জিতিয়ে দেন পেসার নাসিম! এমন পরিস্থিতিতে পড়লে বাংলাদেশের পেসাররা পারতেন ম্যাচটা বের করে আনতে?
জবাবে অকপটেই হাসান মাহমুদ স্বীকার করলেন, সম্ভবত ‘না’। এর কারণ জানাতে এ পেসার জানালেন, চাপটা সেভাবে হজম করতে পারে না বাংলাদেশি খেলোয়াড়। আতঙ্কিত হয়ে যায়। যা পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলে।
সাংবাদিকদের হাসান বলেন, ‘চাপের মুহূর্তে হয়তো আমরা ‘প্যানিক’ হয়ে যাই অথবা নিজেদের স্কিল ভুলে যাই। স্কিলটা ধরে রাখতে হবে। চাপ সামলানো শিখতে হবে। স্কিল ধরে রাখতে পারলে ইয়ার্কারও মারতে পারব। ’
এ মুহূর্তে ডেথ ওভারে পেসার সংকটে ভূগছে বাংলাদেশ। কারণ মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিংয়ে এখন আর সেই ধার নেই। দীর্ঘসময় ধরে দেশের বাইরে তিনি ডেথ ওভারে কার্যকরি ভূমিকা রাখতে পারছেন না।
সঙ্গত কারণেই বিশ্বকাপে এই জায়গাটা নিয়ে দলকে ভাবাচ্ছে। আর এমন পরিস্থিতিতে অধিনায়ক চাইলে ডেথ ওভারের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত হাসান। আত্মবিশ্বাসটা বাড়ালেই সেটা সম্ভব বলে মনে করে এ তরুণ পেসার।
হাসানের ভাষ্য, সব ফাস্ট বোলারই ডেথ ওভারে বল করতে সক্ষম। আমাদের মধ্যে সেই বিশ্বাসটা রাখতে হবে যে- আমরা পারব। অধিনায়ক যে কোনো সময়ই আমার ওপর ভরসা রাখতে পারেন। যেকোনো ভূমিকা নিতে আমি প্রস্তুত আছি। তবে তার আগে এই জায়গাটায় (ডেথ ওভার) নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। এটা নিয়ে দুবাইতে আমাদের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরামের পরিকল্পনায় আমরা কাজ করব।