বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১১:০০:১০

প্রতিপক্ষের জন্য কতটা ভয়ঙ্কর দেখিয়ে দিলেন মেসিরা!

প্রতিপক্ষের জন্য কতটা ভয়ঙ্কর দেখিয়ে দিলেন মেসিরা!

স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বকাপের আগে হন্ডুরাস এবং জ্যামাইকার বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে আর্জেন্টিনা। দুটি ম্যাচেই নিজেদের দাপট দেখিয়ে ৩-০ ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে লিওনেল মেসির দল। সবচেয়ে বড় কথা দুই ম্যাচেই জোড়া গোল করেছেন মেসি।

হন্ডুরাস কিংবা জ্যামাইকার মত দলের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা মাঠে নামলে জয় আসবে- এটা চোখ বন্ধ করেই হয়তো বলে দেয়া যায়। কিন্তু টানা ৩৫টি ম্যাচ অপরাজিত থাকা- এটাকে কী বলা যায়? চাট্টিখানি কথা? ৩৫ ম্যাচ অপরাজিত থাকার গল্পটাই ভিন্ন।

মিয়ামি এবং নিউইয়র্কে ম্যাচ দুটি খেলেছে আর্জেন্টাইনরা। মাঠে নামার আগেই ম্যাচ দুটির ভাগ্য কী হতে পারে, তা যেন বলেই দেয়া যাচ্ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের শহর দুটিতে মেসিরা দেখিয়েছেন, তাদের আক্রমণভাগ কতটা ধারালো এবং প্রতিপক্ষের জন্য কতটা ভয়ঙ্কর।

হন্ডুরাস জয়ের আশা করতেই পারেনি নয় শুধু, তারা আর্জেন্টিনার সামনে কিছুটা লড়াই করবে সে আশাও করতে পারেনি সম্ভবত। আর্জেন্টাইনদের সামনে স্রেফ উড়ে গেছে হন্ডুরাস।

আর্জেন্টিনার দলটিকে বিশ্লেষণ করার পর বিস্ময় তৈরি হচ্ছে ফুটবলবোদ্ধাদের মধ্যে। মিডফিল্ডের তিন সেনানি রয়েছেন কোচ লিওনেল স্কালোনির হাতে। 

লিয়ান্দ্রো পেরেদেস খেলছেন দুর্দান্ত গতি নিয়ে, রদ্রিগো ডি পল সেই গতিকে যেন আরও বাড়িয়ে তুলছেন এবং রিদম পরিবর্তন করে প্রতিপক্ষকে বিভ্রান্তিতে ফেলে দিচ্ছেন। আর জিওভানি লো সেলসো বলকে নিখুঁত পাসে দিয়ে দিচ্ছে মেসির কাছে।

সেই বলটিকে মেসি নিয়ে যাচ্ছেন প্রতিপক্ষের একেবারে গোলমুখে। মাঠের এমন একটা জোনে তিনি থাকেন, যেখান থেকে তিনি কিছু করে দেখানোর সক্ষমতা রাখেন এবং অধিকাংশ সময়ই প্রতিপক্ষের ডিফেন্স ভেঙেচুরে তছনছ করে দিচ্ছেন।

না হয় একেবারে তার সামনে থাকছেন লওতারো মার্টিনেজ। দুর্দান্ত গতিশীল এবং কুশলি এক সেন্টার ফরোয়ার্ড। মেসির বানিয়ে দেয়া বল কিংবা তার অসমাপ্ত কাজকে দারুণ দক্ষতার সঙ্গে সমাধান করে দিচ্ছেন। যার ফলে গোল শুধু মেসির পা থেকেই নয়, মার্টিনেজের পা থেকেও নিয়মিত পাচ্ছে আর্জেন্টিনা।

মেসি তার ক্যারিয়ারে অধিকাংশ সময়ই দলটাকে এমন পেয়েছেন যে, আর্জেন্টিনা কোচের প্ল্যান ‘এ’তে বলা থাকতো- মেসির কাছে বল দাও এবং আশায় থাকো, প্ল্যান ‘বি’তে বলা থাকতো, মেসির কাছে বল দাও এবং আশায় থাকো এবং তাদের কাছে আর কোনো প্ল্যান ‘সি’ থাকতো না।

কিন্তু সময় বদলে গেছে। এখন দলটি আর পুরোপুরি মেসি নির্ভর নয়। যার ফলে মেসি নির্ভার হয়ে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন এবং প্রতিপক্ষের জন্য ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছেন। না হয় তার কাজটি করে দিচ্ছেন লওতারো মার্টিনেজ।

হন্ডুরাসের বিপক্ষে প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যেই গোল। এসেছে মার্টিনেজের পা থেকেই। জ্যামাইকার বিপক্ষে মেসিকে প্রথমার্ধে খেলাননি কোচ। ৫৬ মিনিটে মাঠে নামিয়েছেন মার্টিনেজের পরিবর্তে। তবুও ম্যাচের ১৩ মিনিটের মাথায় গোল আদায় করে নেয় আর্জেন্টিনা। কোচ লিওনেল স্কালোনি দেখার চেষ্টা করেছেন, দলটি মেসিকে ছাড়াও চলতে পারে কি না।

কোচ অনেকটাই সফল। দলটি দাঁড়িয়ে গেছে। প্রতিটি পজিশনে একাদিক যোগ্য অপশন তৈরি হয়ে গেছে তার হাতে। মেসি তো রয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মেই। ৫৬ মিনিটে মাঠে নামলেও করেছেন জোড়া গোল। তার পেছনে যে দলটি রয়েছে, তা নিঃসন্দেহে তার ক্যারিয়ারে পাওয়া সেরা আর্জেন্টিনা ফুটবল দল।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে