বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২, ০৫:০০:৩৩

জেনে নিন, এবার বিশ্বকাপের ম্যাচে এতো বেশি অতিরিক্ত সময় কেন?

জেনে নিন, এবার বিশ্বকাপের ম্যাচে এতো বেশি অতিরিক্ত সময় কেন?

স্পোর্টস ডেস্ক: চলতি বিশ্বকাপের শুরু থেকেই একের পর এক বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এবার তার সঙ্গে উঠে এল নতুন এক প্রশ্ন- প্রতিটি ম্যাচে এত বেশি ইনজুরি টাইম দেওয়া হচ্ছে কেন? ইংল্যান্ড বনাম ইরান ম্যাচে মোট ২৮ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছিল। 

১১৭ মিনিট ধরে এই ম্যাচ চলেছিল। পরের দিন আর্জেন্টিনা বনাম সৌদি আরব ম্যাচেও প্রায় ১৪ মিনিট বেশি খেলতে হয়েছে মেসিদের। মাঠের বাইরের কারণে ইতিমধ্যেই বিতর্কের শিরোনামে উঠে এসেছে কাতার। এবার হ্যারি কেনদের খেলা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন ফুটবলপ্রেমীরা।

জেনে নিন, এবার বিশ্বকাপের ম্যাচে এতো বেশি অতিরিক্ত সময় কেন? টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিনেই মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড ও ইরান। সেই ম্যাচ গড়ায় ১১৭ মিনিট পর্যন্ত। যদিও ম্যাচে গুরুতর ভাবে আহ'ত হয়েছিলেন ইরানের গোলকিপার আলিরেজা বেইরাভান্ড। র'ক্তা'ক্ত অবস্থায় মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয় তাকে। 

প্রথমার্ধে এই ঘটনার পরে ১৪ মিনিটের অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে সেরকম কোনও ঘটনা না হলেও ১৩ মিনিটের বেশি সময় ধরে খেলতে হয় দুই দলকে। ইনজুরি টাইমের একেবারে শেষ লগ্নে এসেই পেনাল্টি পায় ইরান। গোল করে হারের ব্যবধান কমান তারেমি।

পরের দিনই আর্জেন্টিনা বনাম সৌদি আরবের ম্যাচেও একই ঘটনা। তবে এই ম্যাচেও গুরুতর আ'ঘা'ত পান ডিফেন্ডার শাহরানি। সেই ম্যাচেও সব মিলিয়ে ১৪ মিনিটের ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়। উদ্বোধনী কাতার-ইকুয়েডর বা সেনেগাল-নেদারল্যান্ডস, সব ম্যাচই একশো মিনিটের বেশি সময় ধরে চলেছে।

ফুটবলপ্রেমীদের প্রশ্ন, সামান্য সময়ের ব্যবধানে একটা ম্যাচের রং পুরোপুরি পালটে যেতে পারে। সেই কথা জেনেও কেন এত বেশি ইনজুরি টাইম দিচ্ছেন রেফারিরা? এই প্রসঙ্গে ফিফার রেফারি কমিটির চেয়ারম্যান পিয়েরলুইঘি কলিনা বলেছিলেন, খেলা চলাকালীন কতটা সময় নষ্ট হল, তার হিসাব রাখছেন চতুর্থ রেফারিরা। 

চো'ট, গোলের সেলিব্রেশন, ভার প্রযুক্তির ব্যবহার-সব মিলিয়েই বেশ কিছুটা সময় ব্যয় হয়। তাই বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ফিফার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, প্রতিটি ম্যাচেই সাত-আট মিনিট বেশি সময় খেলানো হবে। কিন্তু বাস্তবে সেই সময়টা ১৪ মিনিটও পেরিয়ে যাচ্ছে। তাই আবারও ফুটবলপ্রেমীদের প্রশ্নের মুখে পড়ছে ফিফা। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে