স্পোর্টস ডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি যে অন্যতম সেরা অধিনায়ক, তা নিয়ে কোনও দ্বিমত থাকতে পারে না কিন্তু, টিম ইন্ডিয়ায় তার অভিষেকের রাস্তাটা যে খুব একটা গোলাপ বিছানো মসৃণ ছিল না, সেকথা কিন্তু সকলেই একবাক্যে স্বীকার করবেন।
১৯৯২ সালে সৌরভ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখলেও এরপর বছর চারেক তাকে জাতীয় দলের বাইরে রাখা হয়েছিল। এরপর ১৯৯৬ সালে আবারও জাতীয় ক্রিকেট দলের সুযোগ আসে সৌরভের সামনে। ইংল্যান্ডের মাটিতে পরপর দুটো শতরান করে তিনি নিজের জাত চিনিয়ে দেন।
এরপর বেশ কয়েকবছর তাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে সৌরভকে নিয়ে বিভিন্ন প্রাক্তনীদের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে। এই ভিডিয়োর একটি অংশে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার অরুণ লালের মতামত দেখানো হয়েছে।
অরুণ লাল সেইসময় নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বললেন, দেশের প্রখ্যাত ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলে একবার তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে নির্বাচনের জন্য অরুণ লাল কার কথা বলবেন? জবাবে অরুণলাল বিনা বাক্যব্যয়ে সৌরভের নাম উল্লেখ করেছিলেন।
জবাব শুনে খানিকটা ব্যাঙ্গাত্মকভাবেই হেসেছিলেন হর্ষ। কিন্তু, তারপর সৌরভ প্রমাণ করে দিয়েছিলেন যে কেন সেদিন অরুণ লাল তার নামটাই প্রস্তাব করেছিলেন। একের পর এক কৃতিত্ব সৌরভের চওড়া ব্যাটিংয়ের সামনে কার্যত ফিকে হতে শুরু করেছিল।
সৌরভকে নিয়ে সেদিন যা করেন, তার জন্য আজও ক্ষমা চান হর্ষ ভোগলে। সেই 'হাসি'র জন্য হর্ষ ভোগলে আজও অরুণ লালের কাছে ক্ষমা চান। ২০০০ সালে ভারতীয় ক্রিকেট যখন ম্যাচ গড়াপেটার কলঙ্কে ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছিল, সেইসময় সৌরভের কাঁধে দলের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয়।
এরপর টিম ইন্ডিয়া 'নাও অর নেভার' মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে একের পর এক ধামাকাদার পারফরম্যান্স করতে শুরু করে। বিদেশের মাটিতে কীভাবে টেস্ট সিরিজ জিততে হয়, সেটাও সৌরভের নেতৃত্বেই শিখেছিল ভারত।
১৯৮৩ সালের পর কোনও ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকই কল্পনা করতে পারেননি যে ভারতীয় ক্রিকেট দল আবার বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখতে পারবে। ২০০৩ সালে সেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল। না ফাইনাল জিততে হয়ত পারেনি। কিন্তু, ফাইনালে উঠে সেই স্বপ্নটা আবার বাঁচিয়ে তুলেছিলেন।