বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৩, ১০:৪১:০৩

ইতিহাস লেখার অনুপ্রেরণায় কে? জানালেন শুভমন গিল

ইতিহাস লেখার অনুপ্রেরণায় কে? জানালেন শুভমন গিল

স্পোর্টস ডেস্ক: শুভমন গিল এখন ক্রিকেট ইতিহাসের পাতায়। বুধবার হায়দারাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে ব্যাট হাতে শাসনে ফের একবার চিনিয়েছেন তার জাত। দেশের জার্সিতে পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন পাঞ্জাবের ২৩ বছরের ব্যাটার। 

তার ব্যাটে ভর করেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ভারত ১২ রানে জিতে সিরিজে ১-০ এগিয়ে গিয়েছে। এদিন ওপেন করতে নেমে ৪৯.১ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করে শুভমন ১৪৯ বলে ২০৮ রানের ইনিংস খেলেছেন। ১৯টি চার ও ৯টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন ১৩৯.৫৯ এর স্ট্রাইক রেটে। 

পঞ্চম ভারতীয় হিসাবে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচে দ্বি-শতরান করার নজির গড়েছেন। গিলের বিধ্বংসী ইনিংসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাইশ গজ। আর গিল এদিন ম্যাচের পর ম্যাচের সেরা বলছেন যে, তার ইতিহাস লেখার অনুপ্রেরণায় রয়েছেন ভারতের আরেক তরুণ ব্যাটার ঈশান কিশান!

ম্যাচের পর গিল বলেন, 'আমি মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে ছিলাম, যেটা আমি করতে পারি, সেটাই করতে চাই। একটা সময়ে উইকেট পড়ে যাচ্ছিল। আমি একেবারে নিজেকে উন্মুক্ত করে দিয়েই খেলতে চেয়েছিলাম। আমি আনন্দিত যে, শেষ পর্যন্ত এটা করতে পেরেছি।'

শুভমল বলেন, 'বোলাররা যখন আধিপত্য দেখায়, তখন তাদের চাপে রাখা উচিত। সংকল্পই হাওয়া উচিত ডট বল এড়িয়ে আরও বেশি করে গ্যাপ খুঁজে নিয়ে খেলা। সেটাই করছিলাম আমি। সত্যি বলতে ৪৭ ওভারে ছয় মারার আগে পর্যন্ত ২০০ নিয়ে ভাবিনি।'

গিল আরও বলেন, 'এরপরেই মনে হয় যে, আমি ২০০ করতে পারি। তার আগে পর্যন্ত যেরকম বল পেয়েছি, সেভাবে খেলেছি। দেখুন ঈশান কিশান আমার অন্যতম প্রিয় বন্ধু। ও যখন ডাবল সেঞ্চুরি করেছিল, আমি তখন ক্রিজে ছিলাম। এটা ভীষণ স্পেশ্যাল অনুভূতি।'

পাঞ্জাবের ২৩ বছরের ব্যাটার বলেন, 'এটা সত্যিই ভালো লাগে যখন কিছু করতে চাই আর নিয়মিত ভাবে সেটা করতে পারি। অবশ্যই তৃপ্ত। ডাবল সেঞ্চুরি করে ভালো লাগছে। প্রত্যাশার বাইরেই অনেক হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ হয়েছে এটা।' 

মাত্র ১ মাস ৮ দিনের মাথায় ঈশানকেই পিছনে ফেলে দিয়েছেন গিল। গত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে একদিনের ফরম্যাটে দ্বিশতরানের নজির গড়েছিলেন ঈশান। এদিন ভারতের সবচেয়ে তরুণ ব্যাটার হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরির মালিক হলেন গিল। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে