শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৯:০৫:০০

৬ রানের আক্ষেপ থাকলেও নতুন রেকর্ড গড়লেন তামিম!

৬ রানের আক্ষেপ থাকলেও নতুন রেকর্ড গড়লেন তামিম!

স্পোর্টস ডেস্ক : চলতি বিপিএলের শুরুতে ব্যাট হাতে নিজের সেরা ফর্মে ছিলেন না খুলনা টাইগার্সের অভিজ্ঞ তারকা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল খান। প্রথম তিন ম্যাচের মধ্যে দুটিতে তো আবার আউট হয়েছেন সিঙেল ডিজিটে। অবশেষে শেষ দুই ম্যাচে তামিম ব্যাট হাতে নিজের চেনা রুপে ফিরতে শুরু করেছেন।

আর তাতেই ভাগ্য খুলে গেছে খুলনা টাইগার্সেরও। প্রথম তিন ম্যাচে হ্যাটট্রিক হারের পর তামিমের দল টানা দুই জয় তুলে নিয়েছে। আজ (২০ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে তামিম, মাহমুদুল হাসান জয় এবং অধিনায়ক ইয়াসির রাব্বির দারুণ ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে খুলনা।

এদিন ব্যাট হাতে ব্যাক টু ব্যাক ফিফটির হাতছানি ছিল তামিমের সামনে। কিন্তু মাত্র ৬ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয়েছে জাতীয় দলের এই ওয়ানডে অধিনায়ককে। তবে ফিফটি মিস করলেও এদিন তামিম গড়লেন নতুন রেকর্ড। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সাত হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি।

সাগরিকায় এদিন টসে হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৫৭ রান তুলতে পারে চট্টগ্রাম। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তামিমের রেকর্ড গড়ার দিনে ব্যাট হাতে ঝড়ো ইনিংস খেলে জয় এবং ইয়াসির ৪ বল আগে খুলনাকে জিতিয়ে দেন।

এদিন চট্টগ্রামের পক্ষে ব্যাট হাতে পারফর্ম করেন নিয়মিতই দলটির হয়ে রান করা উসমান খান এবং আফিফ হোসেন। এরমধ্যে উসমান করেন সর্বোচ্চ ৪৫ রান। এ ছাড়া আফিফের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান। দলটির আফগানিস্তানি রিক্রুট দারউইশ রাসুলি ২৫ রান করেন বটে তবে তার জন্য বল হজম করেন ২৬টি। শেষদিকে ফরহাদ ৯ বলে ২১ রানের ক্যামিও খেললে দেড়শ পেরোয় দলটি।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারে মুনিম শাহরিয়ারকে হারায় খুলনা। দুঃসময় কাটানো মুনিম রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তামিম এবং জয় ১০৪ রানের জুটি গড়ে ম্যাচের ভাগ্য অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে দেন।

তামিম ব্যক্তিগত ৪৪ রানে ফিরলে ভাঙে জুটিটি। এদিন মাঠে নামার আগে তামিমের নামের পাশে ২৪২ টি-টোয়েন্টি থেকে ৬৯৯৫ রান ছিল। এদিন সাত হাজার রান স্পর্শ করেন তিনি। এই তালিকায় টাইগার ক্রিকেটারদের মধ্যে তামিমের পেছনে দৌড়াচ্ছেন সাকিব। ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিবের রান এখন ৬৫৪৬। মাহমুদউল্লাহ এবং মুশফিকুর রহিমের রান ছয় হাজারেরও নিচে।

এদিকে বিপিএলেও শীর্ষে থাকা তামিম নিজের অবস্থান আরও শক্ত করেছেন। এই ক্রিকেটারের রান এখন ২৭৮১। দুইয়ে থাকা মুশফিকের রান এখন ২৬৩১। তিনে এবং চারে থাকা মাহমুদউল্লাহ এবং সাকিবের রান এখনও ২১০০ রানের আশপাশে।

তামিম ফেরার পর আউট হয়ে ফেরেন ম্যাচের একমাত্র হাফসেঞ্চুরিয়ান জয়ও। তিনে নেমে ৪৪ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৫৯ রান করেন জয়। দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর বিচলিত না হয়ে উল্টো মাঠে নেমে আক্রমণ করেন খুলনার অধিনায়ক ইয়াসির। মাত্র ১৭ বলে ২টি চার ও ৪টি ছয়ে ৩৭ রান করে দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন রাব্বি। ১৫ রান করে ইয়াসিরকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন আজম খান।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে