সোমবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০২:০৯:৫৯

বন্ধু পিকের সেই বিশ্বাসঘাতকতা কখনও ভুলবেন না মেসি !

বন্ধু পিকের সেই বিশ্বাসঘাতকতা কখনও ভুলবেন না মেসি !

স্পোর্টস ডেস্ক: ২০২১ সালে হঠাৎ করেই বার্সেলোনা ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। যার মাধ্যমে ২১ বছরের সম্পর্কের ইতি টানে এই ক্ষুদে জাদুকর। তবে যার পেছনে মুখ্য ভূমিকা ছিলো বার্সেলোনা অর্থনৈতিক মন্দা অবস্থা। 

এছাড়া বার্সা প্রেসিডেন্ট জোসেফ মারিয়া বার্তোমেউর সঙ্গে তৈরি হয় দূরত্ব। অপরদিকে দুই বছরের ও বেশি সময় পার হলেও ভুলতে পারছে না বার্সা ভক্তরা। এদিকে এই তারকার ক্লাব ছাড়া নিয়ে নতুন গোমর ফাঁস করলেন স্প্যানিশ গণমাধ্যম, যেখানে বলা হয় মেসিকে ক্লাব ছাড়ার পিছনে হাত ছিল জেরার্ড পিকের। 

২০২১ সাল, কোপা আমেরিকা জয়ের পর মেসি এসে প্রেসিডেন্টকে বলেছিলেন তিনি থাকতে চান বার্সাতে। কিন্তু আর্থিক স্বচ্ছতা নীতির কারণে তাকে ছাড়তে হয় ক্লাব। ফলে বাল্যকাল থেকে কৈশোর আর যৌবনের পুরোটা সময় যেখানে নিংড়ে দিয়েছেন সেখান থেকে নিতে হয়েছে অশ্রুসিক্ত বিদায়। তবে কেন এভাবে ছেড়ে যেতে হলো! উঠেছিল নানা প্রশ্ন।

এবার দুই বছরও বেশি সময়ের পর সেই প্রশ্ন উত্তর বের করলেণ স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কার বিখ্যাত ক্রীড়া সাংবাদিক পিপি এস্ট্রাডার। তিনি জানায়, মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার পেছনে হাত ছিল অনেকের। সবচেয়ে অবাক করা তথ্য হলো মেসির বার্সা ছাড়ার চক্রান্তে জড়িত ছিলেন সতীর্থ বন্ধু জেরার্ড পিকে। 

এছাড়া মার্কার এক প্রতিবেদনে পিপি এস্ট্রাডার জানিয়েছে, ক্লাব ছাড়ার সময় মেসি বার্সার ড্রেসিংরুমের বোর্ডে 'জুডাস' শব্দটি লিখে যান। যার অর্থ বিশ্বাসঘা'তক। এর পেছনের কারণ হিসেবে জানায়, মেসি আর্জেন্টিনা থেকে স্পেনে আসার আগেই আর্থিক নীতির বিষয়টি মিটমাট হয়ে যায়। 

তবে বার্সার কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক হয়ে তখন নাকি পেছন থেকে কু-পরামর্শ দিয়ে থাকে পিকে। অন্যদিকে এ নিয়ে ক্লাব কর্মকর্তাদেরকে পিকে জানায় মেসি থাকতে চান না। ফলে মেসি দেশ থেকে ফিরলে সব কিছু বন্ধ হয়ে যায় তার জন্য। আর এ বিষয়টি অন্য এক সতীর্থের মাধ্যমে জানতে পারেন মেসি। বন্ধু পিকের সেই বিশ্বাসঘাতকতা কখনও ভুলবেন না মেসি। 

তাই ক্লাব ছেড়ে যাবার সময় লকার রুম থেকে নিজের জিনিসপত্র গুছানো শেষে 'জুডাস' শব্দটি বড় করে লিখে যান। পরে জর্দি আলবাকে পিকে জিজ্ঞেস করেন, কে লিখেছে এটি। উত্তরে জর্দি বলেন মেসির কথা।    

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে