মঙ্গলবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৬:২২:২১

যুবরাজের হুমকি উড়িয়ে রোহিতের প্রেম, অতঃপর বিয়ে!

যুবরাজের হুমকি উড়িয়ে রোহিতের প্রেম, অতঃপর বিয়ে!

স্পোর্টস ডেস্ক: সব প্রেমকাহিনিতে একজন ভাই, কাকা, মামা, কিংবা খোদ হবু শ্বশুর থাকেন। যারা না-থাকলে প্রেমটা ঠিক তরতাজা হয়ে ওঠে না। বলা যেতে পারে, ওই রকম ‘তৃতীয়পক্ষ’ না থাকলে জমজমাট হয় না, চর্চা হয় না।

ভারতীয় টিমের ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার জীবনেও ছিল এমন একজন, যিনি মোটেও চাননি ঋতিকা সচদের সঙ্গে প্রেম হোক ভারতীয় টিমের ক্যাপ্টেনের। কে ছিলেন তিনি? ভারতীয় টিমেরই এক সিনিয়র। যিনি ছিলেন ঋতিকার বড় ভাই। অবশ্য সরাসরি ভাই বলা যাবে না। 

সেই পাতানো ভাইই রীতিমতো হুমকি দিয়েছিলেন রোহিতকে। কে সেই ভাই? তার নাম যুবরাজ সিং। রোহিত তখন সবে ভারতীয় টিমে এসেছেন। নিজের জায়গা পাকা করার মরিয়া চেষ্টা করছেন হিটম্যান। ঋতিকা তার ম্যানেজার হিসাবে কাজ করেন। ফোনে কথা হলেও মুখোমুখি তখনও দেখা হয়নি। সেই সময় একটি শুটিংয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন ঋতিকা। 

যেখানে ছিলেন যুবরাজও। তিনি ঋতিকার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সাবধান করে দিয়েছিলেন, ঋতিকা তার বোন। ভুলেও যেন প্রেম না করেন তার বোনের সঙ্গে। নিশ্চয়ই বলেছিলেন, ‘আমার বোনের দিকে ভুলেও তাকাবি না।’ রোহিত যে যুবির হুমকিকে কর্ণপাত করেননি, তা বলাই বাহুল্য।

সেই প্রথম শুটিং থেকেই রোহিত-ঋতিকার ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। শুরুর দিকে বন্ধুত্বই গড়ে ওঠে তাদের। কে না জানে, বন্ধুত্বই প্রেমের বুনিয়াদ। দুইজনের সেই বন্ধুত্বই ধীরে ধীরে প্রেমে পাল্টে গিয়েছিল। প্রায় ৬ বছর ডেট করার পর প্রেম নিবেদন করেছিলেন রোহিত। 

কোথায় ঋতিকাকে নিজের মনের কথা বলেছিলেন রোহিত? কোনও ফাইভস্টার হোটেল নয়, বোড়িভলির সেই স্পোর্টস কমপ্লেক্সে, যেখানে ১১ বছর বয়সে খেলা শুরু করেছিলেন রোহিত। ২০১৫ সালের ১৩ ডিসেম্বর এই দুইজন বিয়ে করে নেন। যুবরাজের হুমকি উড়িয়ে রোহিতের প্রেম, অতঃপর বিয়ে।

পেশাদার সম্পর্ক থেকে প্রেমের সম্পর্কে কী ভাবে পা দিলেন ওরা দু’জন? ম্যানেজার হিসেবে রোহিতকে নির্ভরতা দিয়েছিলেন ঋতিকা। মাঠের বাইরে রোহিত যেমন অনবদ্য, মাঠের বাইরে তারাই সে ভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেন না। রোহিতের এই অভাবটা ঢেকে দিয়েছিলেন ঋতিকা। 

এই নির্ভরতাই ধীরে ধীরে দুইজনকে কাছাকাছি এনে দিয়েছিল। এতটা কাছে যে, তারা ঠিক করেছিলেন, জীবনের পথটুকুও একসঙ্গেই হাঁটবেন। ঋতিকাকে বিয়ের পর যুবি কী বলেছিলেন? রোহিতের মতো সুপাত্রের হাতে বোন ঋতিকাকে সঁপে দিতে পেরে খুশিই হয়েছিলেন যুবরাজ! রোহিত আর ঋতিকাও নিশ্চয় যুবির কাছে কৃতজ্ঞ, দুইজনের আলাপ করিয়ে দেওয়ার জন্য।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে