শনিবার, ২৭ মে, ২০২৩, ১২:৩৯:১৪

যে কারণে কখনও ট্যাটু করান না রোনালদো

যে কারণে কখনও ট্যাটু করান না রোনালদো

স্পোর্টস ডেস্ক : ইংলিশ কিংবদন্তি ডেভিড বেকহামের বিদায়ের পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ঐতিহ্যবাহী সাত নম্বর জার্সি গায়ে জড়ান ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ইউনাইটেডের জার্সিতে শুরু থেকেই নিজেকে মেলে ধরতে শুরু করেন পর্তুগিজ তারকা। ধীরে ধীরে তিনি পরিণত হন বিশ্বজোড়া সুপারস্টারে।

স্বাভাবিকভাবে একজন খেলোয়াড় তারকা হওয়ার পর তার পেছনে বিজ্ঞাপনের ভিড় লেগে যায়। অ্যাডিডাস কোম্পানির দীর্ঘদিনের মুখপাত্র ছিলেন বেকহাম। উত্তরসূরি রোনালদোও নাম জড়িয়েছেন বিশ্বের নামিদামি অনেক ব্র্যান্ডের সঙ্গে। এ ছাড়া বর্তমান সময়ের অনেক বড় স্টাইল আইকন রোনালদো। তার হেয়ারকাট এবং ফ্যাশন বিশ্বজোড়া ভক্তদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

বর্তমান প্রজন্মের স্টাইল আইকন হিসেবে জনপ্রিয় রোনালদো প্রায় সবক্ষেত্রেই নিজের স্বকীয়তা দেখিয়েছেন। চুলের স্টাইল থেকে শুরু করে জামাকাপড় সবকিছুতেই নিজস্বতা ধরে রেখেছেন এই তারকা। তবে এই প্রজন্মের স্টাইল আইকন হয়েও রোনালদোর শরীরে কোনো ট্যাটু নেই। 

সমসাময়িক প্রায় সব বড় তারকা–লিওনেল মেসি, নেইমার কিংবা ইব্রাহিমোভিচ সবাই যেখানে মজেছেন ট্যাটুর প্রেমে, সেখানে রোনালদোর শরীরে একটি ট্যাটুও দেখা যায় না। কেন ট্যাটু করান না রোনালদো, সেই প্রশ্নের উত্তর জানিয়েছে ফুটবলভিত্তিক গণমাধ্যম গোল ডটকম।

গোল তাদের একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রক্ত দেয়ার জন্য ট্যাটু করেন না রোনালদো। রক্তদাতা হতে হলে যে ট্যাটু করানো যাবে না এমন বাধ্যবাধকতা অবশ্য নেই। তবে ডাক্তাররা সাধারণত রক্তদাতাদের ট্যাটু না করার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

বিশ্বব্যাপী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রস ট্যাটু করার ১২ মাসের মধ্যে রক্ত দেয়াকে অনুৎসাহিত করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের রক্তদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো অবশ্য অত দীর্ঘ সময়ের কথা বলেনি। তবে তারাও ট্যাটু করানোর পর রক্ত দেয়ার ক্ষেত্রে কমপক্ষে চার মাস অপেক্ষা করতে বলে থাকে।

শুধু রক্তই না, পর্তুগিজ মহাতারকা রক্তের প্লাজমাও দান করেন মাঝে মাঝেই। বিভিন্ন সময় নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে সে বিষয়ে জানান তিনি। এ ছাড়া ২০১৭ সালে 'বি দ্য ওয়ান' নামে একটি রক্ত ও প্লাজমা দাতা প্রতিষ্ঠানের প্রচারণাও চালিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এই তারকা।

রোনালদো ট্যাটু না করালেও তার সমসাময়িক তারকাদের কমবেশি সবাই-ই ট্যাটুর প্রতি আকৃষ্ট। রোনালদোর দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসির শরীরের প্রায় সিংহভাগ জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ট্যাটু। মেসির হাত, পা এবং শরীরে যেসব ট্যাটু তার অধিকাংশ তার স্ত্রীকে উৎসর্গ করে। বার্সার সাবেক তারকা ইশ্বর এবং ফুটবলকে উৎসর্গ করেও ট্যাটু করিয়েছেন।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে রোনালদোর পূর্বসূরি ডেভিড বেকহাম ফুটবলারদের মধ্যে ট্যাটু জনপ্রিয় করার অন্যতম প্রভাবক। নব্বইয়ের দশকে এ ধরনের স্টাইলকে জনপ্রিয় করে গেছেন তিনিই। পরবর্তী সময়ে তাকে দেখেই অনেকে ট্যাটুর জগতে প্রবেশ করেছে।

ট্যাটুতে ভীষণভাবে আসক্ত ইব্রাহিমোভিচ। সুইডিশ তারকার শরীরের সিংহভাগজুড়েই বিভিন্ন ট্যাটু। পিএসজির আরেক তারকা নেইমারও বিখ্যাত তার ট্যাটু-প্রেমের জন্য। বিভিন্ন সময় নিত্যনতুন সব ট্যাটু নিয়ে হাজির হন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে