জীবিত থাকার পরও মৃত্যুসনদ দেওয়ার ঘটনায় স্বামী শফিকুল ইসলামের করা মামলায় মহিলা ইউপি সদস্য (মেম্বার) শারমিন আক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (৩ অক্টোবর) সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। শারমিন আক্তার শিবালয় মডেল ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নারী সদস্য।
মামলা সূত্রে জানান গেছে, শিবালয় উপজেলার নবগ্রাম গ্রামের সফিকুল ইসলাম (৬৩) ২৭ সেপ্টেম্বর শিবালয় উপজেলার সমাজ সেবা দপ্তরে ঋণ তোলার জন্য যান। এ সময় কাগজপত্র দেখে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান এই নামের ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর প্রমাণ হিসেবে শিবালয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিনের স্বাক্ষরিত মৃত্যুসদন দেখানো হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন, ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ এবং নারী ইউপি সদস্য ও ভুক্তভোগীর স্ত্রী শারমিন আক্তারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে নিজ বাড়ি থেকে শারমীনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ কবির বলেন, সফিকুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগীর জীবিত অবস্থায় চেয়ারম্যান-মেম্বাররা যোগসাজশে মৃত্যুসনদ দিয়েছেন। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে কারো কাছে জানালে তাকে হত্যার হু'মকি দেওয়া হয়েছে বলে ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় মামলা এজাহারভুক্ত হয়।