শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৯, ০৫:৫৪:৪৬

ঈদে মিলাদুন্নবীর (সা.) অনুষ্ঠানে ইমামদের ওপর হা'ম'লা

ঈদে মিলাদুন্নবীর (সা.) অনুষ্ঠানে ইমামদের ওপর হা'ম'লা

নারায়ণগঞ্জ থেকে : নারায়ণগঞ্জের বন্দরের কদম রসুল পূর্বপাড়া এলাকায় ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত খতমে কোরআন অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ায় ২ ইমামকে মা'রধ'রসহ ১০ জনকে লা'ঞ্ছি'ত এবং অ'ব'রু'দ্ধ করে রাখার খবর পাওয়া গেছে।

এ নিয়ে এলাকায় চ'র'ম উ'ত্তে'জ'না দেখা দিলে পুলিশসহ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতারা এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আ'হ'ত ও লা'ঞ্ছ'নার শি'কা'র ইমামরা হলেন- পূর্বপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা সামসুদ্দোহা, মাওলানা আমিনুল হক রিপন, হাফেজ আনোয়ার হোসেন, বড়বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম ও বন্দর কেন্দ্রীয় ঈদগাহের প্রধান খতিব মাওলানা সোহরাব আলী, নবীগঞ্জ কবরস্থান জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা রবিউল আউয়াল, মাওলানা আ. রহমান, হাফেজ মাওলানা শহীদুল্লাহ, মাওলানা জামির হোসেন, কদম রসুল দরগাহ মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা শরীফুল্লাহ শাহীন ও হাফেজ আমজাদ হোসেন।

ইমামরা জানান, নবীগঞ্জ কবরস্থান কমিটির সভাপতি হাবীব উদ্দিন হাবির বাসায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে খতমে কোরআন ও দোয়ার আয়োজন করেন।

সকালে তারা দাওয়াত পেয়ে হাবি মিয়ার বাসায় কোরআন পড়তে আসেন। এ সময় হাবির ভাই ডালিম, ডালিম মিয়ার ছেলে মুগ্ধ ও অপূর্ব লাঠিসোটা নিয়ে হাবি মিয়ার বাড়িতে প্রবেশ করে ইমামদের অকথ্য ভাষায় গা'লিগা'লা'জসহ মা'রধ'র শুরু করেন এবং ইমামদের জামা কাপড় ছিড়ে ফেলেন।

পরে তারা অ'ব'রু'দ্ধ অবস্থায় থেকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন। তার আগে হামলার সংবাদ পেয়ে এলাকার শত শত লোক ডালিমের বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় ডালিম ও তার ছেলে পালিয়ে যান। 

এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশসহ বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ূন কবির মৃধা পরিস্থিতি শান্ত করেন। এরপর দুপুরে পুলিশের উপস্থিতিতে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়ে এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল জানান, ঘটনাটি ন্য'ক্কা'রজনক। ইমামরা মেহমান। তাদের ওপর হা'মলা মেনে নেয়া যায় না। আগামী সোমবার এ বিষয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, সংবাদ পাওয়ার পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে