সোমবার, ২২ মে, ২০২৩, ০৯:০২:১৮

আকস্মিক কালবৈশাখী, নেত্রকোণায় ব্যাপক ক্ষতি

আকস্মিক কালবৈশাখী, নেত্রকোণায় ব্যাপক ক্ষতি

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : নেত্রকোণায় আকস্মিক ঝড়ে বাড়িঘর, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রোববার (২১ মে) বিকেলে জেলার সদর উপজেলা, খালিয়াজুরী, মদন, মোহনগঞ্জ, আটপাড়া ও কেন্দুয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেলে এমন ক্ষয়ক্ষতি হয়।

স্থানীয়রা জানান, রোববার বিকেল ৪টার দিকে আকস্মিকভাবে প্রচণ্ড ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হয়। জেলার বিভিন্ন উপজেলার ওপর দিয়ে এ ঝড় বয়ে যায়। এতে কাঁচা ও আধা পাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। উড়ে যায় বিভিন্ন মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টিনের চাল। ক্ষতিগ্রস্ত হয় মৌসুমী ফল ও সবজি। এছাড়া এসব এলাকার পল্লীবিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের খুঁটি ভেঙে যায়। এ অবস্থায় ওইসব এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

মদন উপজেলার শাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা শাজাহান মিয়া বলেন, আকস্মিক ঝড়ে স্থানীয় বাজারে থাকা আমার একটি দোকান ঘরসহ তিনটি ঘরের টিনের চালা উড়িয়ে নিয়ে গেছে।

একই উপজেলার গঙ্গানগর গ্রামের বাসিন্দা দ্বীন ইসলাম বলেন, বৃষ্টি ও আকস্মিক ঝড়ে গাছের সব আম পড়ে গেছে। আম ও লিচু গাছের ডাল-পালা ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া মৌসুমী ফল ও সবজিরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আঠারবাড়ি গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া বলেন, ঝড়ে আমার বাড়িঘরের অনেকটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘরের টিনের চাল, পানি ট্যাংকি ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। এছাড়া আমাদের বাড়ি সংলগ্ন সড়কের পাশে থাকা গাছপালা ভেঙে রাস্তা-ঘাটে পড়ে থাকায় চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে এবং ঝড়ে কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে বলেও জানান তিনি।

নেত্রকোণা পল্পীবিদ্যুৎ সমিতি কেন্দুয়া এরিয়া অফিসের ডিজিএম মুজিবুর রহমান বলেন, ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের ১২টি খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় ওইসব এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে খুঁটিগুলো মেরামত করে দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ করার কাজ চলছে।

পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির মদন এরিয়া অফিসের ডিজিএম মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, উপজেলার কাইটাইল, নায়েকপুর, গোবিন্দশ্রী ও খালিয়াজুরিতে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে মদন ফায়ার সার্ভিস ও আমাদের লোকজন যৌথভাবে কাজ চলছে।

এ বিষয়ে মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ আলম মিয়া ও কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও, ভারপ্রাপ্ত) মো. রাজিব হোসেন বলেন, ক্ষয়ক্ষতির তালিকা দিতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে এবং পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও উপজেলা প্রশাসনের লোকজন মাঠে কাজ করছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে