শনিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২১, ০৮:৫০:৩৭

যেতে চেয়েছিলেন বাবার বাড়ি, চলে গেলেন না ফেরার দেশে!

যেতে চেয়েছিলেন বাবার বাড়ি, চলে গেলেন না ফেরার দেশে!

নরসিংদী থেকে : তুচ্ছ ঘটনায় নির্যাতন চালিয়ে গৃহবধূ শ্যামলীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। হত্যার পর লাশ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখেন গৃহবধূর স্বামী মানিক মিয়া। এমনটি অভিযোগ শ্যমলীর স্বজনদের। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

পরে পুলিশ মানিক মিয়াকে আটক করে। পারিবারিক সূত্র জানা যায়, দুই বছর পূর্বে মির্জানগরের হোগলাকান্দির মৃত হাবিবুর রহমানের কুয়েত প্রবাসী ছেলে মানিক মিয়ার সঙ্গে আদিয়াবাদের শেরপুর-কান্দাপাড়া এলাকার জসিম মিয়ার মেয়ে শ্যামলীর বিয়ে হয়। ছয়মাস পূর্বে মানিক প্রবাস ছেড়ে দেশে চলে আসেন। এরপর দীর্ঘদিন ধরে বাবার বাড়ি যেতে না দেওয়ায় স্বামীর সঙ্গে শ্যামলীর ঝগড়া হয়। 

এরই জেরে ধরে শ্যামলীকে হত্যার পর সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন মানিক। শনিবার সকালে মৃত্যুর সংবাদ শুনতে পায় শ্যামলীর স্বজনরা। পরে সেখানে গিয়ে মানিককে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় নিহত শ্যামলীর পরিবারে পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে জানান পরিবারের সদস্যরা।

আটক মানিকের দাবি, সকালে বাড়ি ফিরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় স্ত্রীকে দেখতে পান তিনি। পরে ভাবীদের সহযোগিতায় তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন। ওই সময় শ্যামলী বেঁচে ছিল। এর কয়েক মিনিটের মাথায় তার মৃত হয়। তুচ্ছ ঘটনার জেরেই স্ত্রীর আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি তার।

শ্যামলীর মা রাবেয়া বেগমের দাবি, 'হত্যার পর মেয়েকে সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এর আগে শ্যামলীর ওপর নির্যাতন চালিয়েছে মানিক। দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে তিনি দাবি করেন।' রায়পুরা থানার এসআই দেব দুলাল দে জানান, নিহত লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই বলে জানান তিনি। এ ঘটনায় তার স্বামীকে আটক করা হয়েছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে