মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৪৯:৩৮

‘স্বামীর আত্মহত্যার’ সময় ছবি তুললেন স্ত্রী!

‘স্বামীর আত্মহত্যার’ সময় ছবি তুললেন স্ত্রী!

বিচিত্র জগৎ ডেস্ক: স্ত্রীর প্ররোচনায় স্বামী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি আত্মহত্যা করার সময় স্ত্রী স্বামীকে বাঁচাতে কোনো চেষ্টা করেন নি। উল্টো স্ত্রী তার ফোনে সেই আত্মহত্যার ছবি ক্যামেরাবন্দি করেন। 

ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভারতের হাওড়ার বালি থানা এলাকায়। স্বামীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার জন্য স্ত্রী নেহা শুক্লকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, বালি থানার বাদামতলা এলাকার বাসিন্দা আমন সাউ। তিনি পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী। পাঁচ বছর প্রেমের পর গত ১১ ডিসেম্বর লিলুয়ার বাসিন্দা নেহা শুক্লকে বিয়ে করেন তিনি। 

পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিয়ের পর কিছু দিন ভালোভাবে কাটলেও, দ্রুতই দু’জনের সম্পর্কে ফাঁটল ধরতে শুরু করে। নেহার সঙ্গে হুগলির উত্তরপাড়ার এক যুবকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যেখান থেকে অশান্তির শুরু বলে অভিযোগ আমনের পরিবারের। যা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত। মাঝে মধ্যেই পার্টি করে অনেক রাতে ফিরতেন নেহা। আমনের থেকে প্রায়ই জোর করে টাকা চাইতেন বলেও অভিযোগ।

আমনের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি আরও জানায়, গত মার্চ মাসে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির অমতে প্রেমিকের সঙ্গে দিল্লি যান নেহা। কিছুদিন কাটিয়ে ফিরে এসে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আমনকে চাপ দিতে থাকেন। এই অবস্থায় নেহার মোবাইলে প্রেমিকের সাথে ‘আপত্তিকর’ ছবি পেয়ে যান আমন। 

গত ৮ এপ্রিল রাতে এই নিয়ে ঝগড়া হয়। তখন নেহা মোবাইলে তার স্বামীর কথোপকথন রেকর্ড করতে থাকেন। এসময় আমনকে উত্তেজিত করতে থাকেন বলেও অভিযোগ পরিবারের। এর পরই গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়েন আমন। যা ক্যামেরা বন্দি হয় নেহার মোবাইলে।

অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতেও আমনকে কোনও ভাবেই বাঁচানোর চেষ্টা করেননি নেহা। বিষয়টি জানাজানি হতেই তিনি বাড়ি ছেড়ে পালাবার চেষ্টা করেন। তখন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তার মোবাইল কেড়ে নেন। পরে তা পুলিশকে জমা দেওয়া হয়। 

পরে, বালি থানায় নেহার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন আমনের বাবা। পুলিশ সোমবার (১২ এপ্রিল) রাতে নেহাকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার হাওড়া আদালতে তাকে উঠানো হয়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে