শুক্রবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯, ১১:৪৫:৪১

নবম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় হামলা ভাঙচুর

নবম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় হামলা ভাঙচুর

শরীয়তপুর : শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে নবম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে ইভটিজিং করে স্থানীয় তিন বখাটে। এতে প্রতিবাদ করলে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে বখাটেরা। পরে সংঘর্ষও বাধে। সংঘর্ষে দু’পক্ষের ৬ জন আহত হন। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নড়িয়া থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে।

পুলিশ, ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার পন্ডিতসার উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ওই তিন ছাত্রী গত বুধবার বিকেলে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে সালধ ব্রিজের ওপরে পথ আটকে দেয় ভূমখাড়া ইউনিয়নের পাটদল গ্রামের বখাটে নাঈম মাঝি (১৮), শাওন হাওলাদার (২২) ও দ্বীন ইসলাম (২২)। এ সময় ছাত্রীদের কু-প্রস্তাব দেয় তারা। এক পর্যায়ে এক ছাত্রীর ওড়না টান দেয় বখাটেরা।

বিষয়টি ইতালী প্রবাসী হানিফ ঢালী, সুজন সরদার, আলমাছ ও জামাল দেখতে পেয়ে প্রতিবাদ জানায়। পরে মেয়েরা বাড়ি চলে যায়। কিন্তু ওই রাতে ওই ৩ যুবক প্রায় ২শ লোক নিয়ে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে প্রতিবাদকারীদের বাড়িতে।

পরে সংঘর্ষ বাধলে নাইম, দ্বীন ইসলাম ও জিহাদ আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় হানিফ ঢালীকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং নাইমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় প্রবাসী হানিফ ঢালীর বড় ভাই খালেক ঢালী অপরদিকে নাইম মাঝির বাবা মোহাম্মদ আলী মাঝি বাদী হয়ে নড়িয়া থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা করেন। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

খালেক ঢালী বলেন, মেয়েদের উত্ত্যাক্ত করলে আমরা প্রতিবাদ করি। প্রতিবাদ করায় আমাদের মারধর করেছে। এ হামলার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।

এদিকে বখাটে নাইম মাঝির বাবা মোহাম্মদ আলী মাঝি বলেন, হানিফ ঢালীরা আমার ছেলে নাইমসহ দ্বীন ইসলাম ও জিহাদকে মারধর করেছে। নাইমের অবস্থা গুরুতর। তাই চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়েছি। আমি বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছি।

নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, ঘটনাটিতে পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে