মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৭, ০১:২৭:৫৯

রাখাইনে প্রকল্প নিয়ে মিয়ানমারে প্রতি হতাশ চীন

রাখাইনে প্রকল্প নিয়ে মিয়ানমারে প্রতি হতাশ চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাখাইন রাজ্যকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে মিয়ানমার সরকার। এজন্য রাখাইনের পাশেই প্রস্তাবিত স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কথা। এটি গড়ে উঠবে কিউকফিউ অঞ্চলে। এর মধ্যে রয়েছে রাখাইন রাজ্যে একটি শিল্প পার্ক ও একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ।

এর কাজ পেয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংস্থা সিআইটিআইসি গ্রুপ নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়াম। কিন্তু প্রকল্প নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে চীন। তারা বলছে, প্রকল্প নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে দুই বছর ধরে আলোচনা চলছে। কিন্তু অগ্রগতি নেই বললেই চলে। মিয়ানমারের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউ থেইন সেইনের অধীনে রাখাইন রাজ্যে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে চীনকে শতকরা ৮৫ ভাগ শেয়ার দেয়ার অংশীদারিত্ব অনুমোদিত হয়।

বাকি শতকরা ১৫ ভাগ থাকবে মিয়ানমারের। কিন্তু অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন সিআইটিআইসি গ্রুপের মিয়ানমার বিষয়ক নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ইউয়ান শাওবিন। তিনি বলেছেন, কাজ সম্পাদনের চুক্তি প্রায় প্রস্তুত। এখন শুধু অনুমোদন বাকি। এ খবর দিয়েছে মিয়ানমারের অনলাইন মিয়ানমার টাইমস।

এতে বলা হয়, প্রকল্পের শেয়ার নিয়ে দরকষাকষি করছে মিয়ানমার। এ অবস্থায় চীনা বিনিয়োগকারীরা জোর দিয়ে বলছেন, মিয়ানমার সরকারই তো শেয়ার কে কত পাবে সেই ভাগবাটোয়ারা করেছে। এখন বল ন্যাপিড’র (রাজধানী) কোটে। তারাই এ অবস্থা ভেঙে পদক্ষেপ নেবে এবং সমঝোতা প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেবে।

১৬ই অক্টোবর সাংবাদিক সু ফাইও উইন থমসন চাউ-এর লেখা প্রতিবেদনে বলা হয়, স্পেশাল ইকোনমিক জোনের ভিতর রয়েছে রাখাইনে একটি শিল্পপার্ক ও গভীর সমুদ্রবন্দর। এই মেগা প্রকল্পকে দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস ‘মিনি সিঙ্গাপুর’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল।

এ প্রকল্পের জন্য ২০১৫ সালে দরপত্র আহ্বান করা হয়। তাতে বিজয়ী হয় চীনের সিআইটিআইসি গ্রুপের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়াম। তাদের সঙ্গে আরো রয়েছে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং, চায়না মার্চেন্টস, টেডা ইনভেস্টমেন্ট, ইউনান কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ ও থাইল্যান্ডের চারোয়েন পোকফান্ড গ্রুপ। সিঙ্গাপুর জুরং অ্যান্ড বিডব্লিউসি’র সঙ্গে পরামর্শক্রমে মিয়ানমারে এ কাজের টেন্ডার পায় চীন নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়াম।

এই গ্রুপটি এখন স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বড় দুটি প্রকল্প- শিল্প পার্ক ও গভীর সমুদ্রবন্দর নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে। এ বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করে সিআইটিআইসি গ্রুপের মিয়ানমার শাখার প্রেসিডেন্ট ইউয়ান বলেছেন, কার্য সম্পাদনের চুক্তি সম্পন্ন হলে তা হবে সামনে এগুনোর একটি ক্ষুদ্র পদক্ষেপ।

তবে সেটা টার্গেটে পৌঁছানো নয়। এক্ষেত্রে সব রকম ট্রানজেকশন ডকুমেন্ট স্বাক্ষর হলে ওই অর্থনৈতিক জোনে কাজ শুরু করা যাবে। শিল্পপার্ক নির্মাণে তিনটি চুক্তি রয়েছে। তা হলো- ১. বিনিয়োগ চুক্তি। ২. অংশীদারিত্ব চুক্তি। ৩. জমি লিজ সংক্রান্ত চুক্তি। গভীর সমুদ্র বন্দরের ক্ষেত্রেও একই রকম চুক্তি প্রয়োজন। - এমজমিন

এমটিনিউজ/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে