মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৭, ১০:৩৯:৪২

জরুরি অবস্থা জারির আশঙ্কায় জাতিসংঘে যাননি সু চি!

 জরুরি অবস্থা জারির আশঙ্কায় জাতিসংঘে যাননি সু চি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রোহিঙ্গা ইস্যুতে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ না দিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি। স্বভাবতই বলা হচ্ছিল, রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের ওপর চলা বর্বরতা নিয়ে প্রশ্ন ও সমালোচনার এড়াতে চাইছিলেন বলেই সু চি সেখানে যাননি। এবার জানা গেলো, সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কাতেই সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেননি সু চি!

থাইল্যান্ড থেকে মিয়ানমারের কিছু নির্বাসিত সাংবাদিক দ্বারা পরিচালিত সংবাদমাধ্যম ইরাবতির এক বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনার জবাব দেয়ার চেয়েও দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে বেশি চাপের মুখে ছিলেন দেশটির রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা সু চি। ফলে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ না দিয়ে মিয়ানমারেই থেকে গিয়েছিলেন সু চি।

রাখাইনে সহিংসতা শুরুর সময় থেকেই দেশটির প্রেসিডেন্ট তিন চ্যেও ব্যাংককে চিকিৎসাধীন। দেশটির শীর্ষ সেনা কর্মকর্তারা অভিযানের সময় রাখাইনে জরুরি আইন জারি করতে চেয়েছিলেন। সু চি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে গেলে সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে সেনাবাহিনী জরুরি অবস্থার জারি করতে পারত। কিন্তু রাখাইনে সংকট শুরুর প্রথম দিন থেকেই সু চি জরুরি অবস্থা জারির বিরোধিতা করে আসছেন।

মিয়ানমারের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউ মুইন্ট সয়ে একজন সাবেক শীর্ষ জেনারেল এবং থেইন সেইন সরকারের শাসনামলে ইয়াঙ্গুনের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন। সাবেক সেনা শাসক জেনারেল থান শয়ের আমলে সেনাবাহিনীর কট্টরপন্থী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন সয়ে। তাকে নিয়েও শঙ্কায় ছিলেন সু চি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য আরেক ভাইস প্রেসিডেন্ট হেনরি ভ্যান থিও’কে জাতিসংঘে পাঠান সু চি। আর নিজে ভাষণ দেন কূটনীতিকদের উদ্দেশ্যে।

মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট ব্যাংকক থেকে ফিরে এলে সু চি চেক প্রজাতন্ত্রের প্রাগে পূর্ব-নির্ধারিত সফর বাতিল করেন। এর বদলে যান ব্রুনাইয়ে। সেখানে তিনি বেশ কয়েকজন এশীয় রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন যারা কিনা রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সমালোচনা করে আসছিল।

মিয়ানমারের ২০০৮ সালের সংবিধান অনুসারে, দেশটির সেনাবাহিনীও কিছু শর্তসাপেক্ষে জরুরি অবস্থা জারি করতে পারে। তবে সেনাপ্রধানের একক ক্ষমতা থাকলেও ছয় মাস বা তার বেশি সময়ের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করতে হলে অবশ্যই তাকে দেশটির ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এনডিএসসি) অনুমোদন নিতে হয়।

দেশটির বিভিন্ন মহলে এখনও সেনা অভ্যুত্থানের গুঞ্জন রয়েছে।- যমুনা টিভি
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে