বিনোদন ডেস্ক: শাবনূর দেশে ফিরেছেন ঈদের আগেই। আর ফিরেই বললেন এবার অভিনয় নিয়ে আর চিন্তা করছি না। যদিও বড় পর্দায় ফেরার জন্য শারীরিক ফিটনেস ফিরিয়ে এনেছি কিন্তু এখন চাইছি নির্মাণে ফিরতে। অনেক আগেই এর জন্য পরিচালক সমিতির খাতায় নাম লিখিয়েছিলাম। ব্যাটে বলে মেলেনি বলে নির্মাণ নিয়ে এগুতে পারিনি। এবার মনস্থির করেছি ভালো একটি ছবি বানাবো।
তবে এর জন্য অনুকূল পরিবেশ চাই। মানে বর্তমানে চলচ্চিত্র জগৎ যেভাবে বিভক্ত হয়ে পড়ছে, মতানৈক্য বাড়ছে তাতে সাধারণ দর্শকের মনে চলচ্চিত্র জগৎ নিয়ে নেতিবাচক ধারণা বাড়ছে। এটি কারও কাম্য নয়। চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য মানহানির মতো বিষয়। এ অবস্থায় চলচ্চিত্র নির্মাণে বিনিয়োগ করে কেউ সাফল্যের মুখ দেখবে বলে মনে হয় না।
দর্শক যদি চলচ্চিত্রের মানুষের প্রতি বিরূপ ধারণা নিয়ে বসে থাকে তাহলে তারা ছবি দেখতে সিনেমা হলে আর আসবে না। তাই চলচ্চিত্রকারদের সব বিভেদ ভুলে একতাবদ্ধভাবে নিয়মনীতির মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে চলচ্চিত্র হলো একটি দেশের সবচেয়ে বড় গণমাধ্যম। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দেশ সমাজ আর পরিবারের জন্য ম্যাসেজ আর বিনোদন তুলে ধরা যায়। আমাদের চলচ্চিত্রের রয়েছে সোনালি ঐতিহ্য।
এদেশে এক সময় মানসম্মত বিশ্বমানের ছবি নির্মাণ হয়েছে। সে সব ছবি ও এ দেশের তারকারা দেশে-বিদেশে সম্মানিত হয়েছেন। এই ঐতিহ্য কীভাবে আজ হারিয়ে ফেলতে বসেছি বুঝতে পারছি না। সিনেমা হলের সংখ্যা আগেই কমেছে, এখন কমছে চলচ্চিত্র নির্মাণ। এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র বলে আর কিছুই থাকবে না।
এ দেশের দর্শক দেশীয় ছবিপ্রেমী। তারা ভালো ছবি পেলে অবশ্যই সিনেমা হলমুখী হয়। এর প্রমাণ বারবার পেয়েছি। তাই চলচ্চিত্রকারদের কাছে অনুরোধ আবার পরিবেশ তৈরি করুন, আমিও নির্মাণে আসবে।
এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস