রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭, ০৩:৫৪:৪৭

‘ঢাকা অ্যাটাক’র পরিচালক ও গল্পকারের ফাঁসির দাবি!

‘ঢাকা অ্যাটাক’র পরিচালক ও গল্পকারের ফাঁসির দাবি!

বিনোদন ডেস্ক : নানা জল্পনা-কল্পনার পর সানী সানোয়ারের গল্পে দীপঙ্কর দীপনের পরিচালনায় ৬ অক্টোবর মুক্তি পেয়েছে পুলিশ অ্যাকশন সিনেমা ‘ঢাকা অ্যাটাক’। সিনেমাটি মুক্তির পর থেকেই বিপুল পরিমাণ সাড়া পাওয়া গেছে। অনেকেই বলছেন, বাংলা চলচ্চিত্র যখন ধ্বংসের মুখে সেই মুহূর্তে এমন একটি সিনেমা দেশের চলচ্চিত্র প্রেমীদের আবারও হলে ফিরিয়েছে। এই সিনেমা এতটাই আলোড়ন তুলেছে যে এ ধরনের সিনেমা নির্মাতারা খুব দ্রুত উপহার না দিলে তাদের ফাঁসি দাবি করেছেন অনেকে।

সিনেমাটি মুক্তির প্রথম দিনেই চমকে দিয়েছিল দর্শকদের। এখনও পর্যন্ত সিনেমাটি তার চমক ধরে রেখেছে। প্রথম সপ্তাহে ১২২টি প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি চললেও দ্বিতীয় সপ্তাহে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩০টিতে। এরই মধ্যে সিনেমাটি আয় করেছে সাড়ে তিন কোটি টাকা। আপাতদৃষ্টিতে সিনেমাটিকে ব্যবসা সফল মনে হলেও সিনেমাটি দেখার পর অনেকেই দীপঙ্কর দীপন ও সানী সানোয়ারের ফাঁসি দাবি করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন!

আবদুল্লাহ আল-মামুন নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী স্ট্যাটাসে লিখেন, অনেকদিন পর হলে গিয়ে সিনেমা দেখলাম। সিনেমার গল্প ও নির্মাণ খুবই অসাধারণ লেগেছে। এই ধরনের চলচ্চিত্র ঢাকাই সিনেমার জন্য আবারও সোনালী দিন বয়ে আনতে পারে। বাংলা সিনেমাকে রক্ষার জন্য ঢাকা অ্যাটাকের নির্মাতাদের কাছ থেকে এ ধরণের আরও সিনেমা চাই। যদি অতি দ্রুতই তারা এ ধরনের সিনেমা আমাদের উপহার না দেন তবে তাদের ফাঁসিতে ঝোলানো হোক।

ফারহান হাবীব নামের অপর এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেন, অসাধারণ গল্প আর ক্যামেরার কাজ ছিল ঢাকা অ্যাটাকে। আমরা আবারও হলে গিয়ে সিনেমা দেখতে চাই। বিনোদনের সবচেয়ে বড় এ মাধ্যমটি দেশে অনেকদিন ধরেই অকার্যকর ছিল। সিনেমার জন্য সানী ভাইয়ের প্রথম গল্প একেবারেই ফাটিয়ে দিয়েছেন। দীপন ভাই সেই গল্পকে ছবিতে রূপ দিয়েছেন। তাদের কাছে আবারও এ ধরণের সিনেমা চাই। না হলে তাদের ফাঁসিতে ঝোলানোর জন্য আমরা আন্দোলনে নামব।

ফারহান আর মামুনের মতো এমন দাবি সিনেমাটি দেখে আসা আরও অনেক দর্শকের।

দর্শকদের ভালোবাসার এই ফাঁসির দাবিতে আনন্দিত সিনেমাটির নির্মাতারা। একই সঙ্গে ভালো কিছু পাওয়ার জন্য উত্তেজিত না হয়েন ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন দর্শকদের।

সিনেমার পরিচালক দীপঙ্কর দীপন এমন দাবির প্রেক্ষিতে বলেন, ভালো কাজের জন্য বেশি সময়ের প্রয়োজন। এই সিনেমাটি নির্মাণ করতে আমাদের প্রায় ৩ বছর সময় লেগেছে। আমরা এটির কাজ দ্রুত শেষ করতে হয়ত সিনেমাটি এতটা ভালো হত না। বেশি বেশি কাজ করলে কোয়ালিটি ফল করার সম্ভাবনা থাকে। আমরা চাই মান ধরে রেখে ভবিষ্যতেও দর্শকদের এ ধরনের সিনেমার উপহার দিতে।

তিনি আরও বলেন, একটা ভালো ছবি নির্মাণ করতে মোটামোটি দুই বছর সময় লেগে যায়। দর্শকদের অন্তত এই সময়টা আমাদের দিতে হবে।

অন্যদিকে সিনেমার গল্পকার ও পুলিশের এডিসি সানী সানোয়ার দর্শকদের এমন দাবি শুনে কিছুটা সময় ধরে হেসে বললেন, এই সিনেমাটি নির্মাণ করতে অনেক কাঠ-খোট্টা পেরুতে হয়েছে আমাদের। তবে সিনেমাটি যেহেতু এতটা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সুতরাং কিছু দিনের মধ্যেই দর্শকদের আরও ভালো কিছু উপহার দেয়ার জন্য আমরা কাজ শুরু করব।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে