বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০১:৪৭:৪৮

শাকিব খানের এই ছবিটিই কি সব সমস্যার মূলে?

শাকিব খানের এই ছবিটিই কি সব সমস্যার মূলে?

বিনোদন ডেস্ক : চিত্রনায়িকা বুবলীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একই ফ্রেমে বন্দি হয়েছিলেন ঢাকাই কিং শাকিব খান। সেই ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন বুবলী। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘ফ্যামিলি টাইম’। এই একটি ছবিতেই বাঁধে বিপত্তি।

শাকিবের সঙ্গে শেয়ার করা ছবির ক্যাপশন কেন ফ্যামিলি টাইম সেটি নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন অপু বিশ্বাস। জানতে চান, শাকিব কিভাবে তার পরিবারের সদস্য হলেন? বুবলীকে ফোন দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেন তিনি। এদিকে শাকিব খানের সঙ্গেও অপুর সম্পর্কের অবণতি ঘটতে থাকে।

বুবলীর সঙ্গে একই ছবিতে অভিনয়ে বার বার নিষেধ করলেও অপুর সেই নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা করেননি শাকিব। একের পর এক ছবিতে বুবলীর সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন তিনি। অপু অভিনয়ে ফিরতে চাইলেও বিভিন্ন বাহানায় তাকে দূরে রেখেছেন শাকিব!

নিজেদের ভেতরের সেই দ্বন্দ্বগুলো কাটিয়ে উঠতে না পেরে দীর্ঘদিন আড়ালে থাকার পর চলতি বছরের ১০ এপ্রিল হঠাৎ একটি টেলিভিশন চ্যানেলের লাইভ অনুষ্ঠানে ছয় মাসের শিশুসন্তান আব্রাম খান জয়কে নিয়ে শাকিবের সঙ্গে বিয়ের কথা ফাঁস করে দেন অপু বিশ্বাস। জানান, ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল, শুক্রবার শাকিবের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। বিয়ের স্থান ছিল শাকিবের বাসা।

যেখানে সাক্ষী ছিলেন অপুর মেজো বোন, শাকিবের চাচাত ভাই এবং উকিল বাবা ছিলেন প্রযোজনা ব্যবস্থাপক মামুনুজ্জামান মামুন। গণমাধ্যমের সামনে ছেলেকে নিয়ে অপুর এমন হাজির হওয়ার ধাক্কা শুরুতে সামলাতে পারেননি শাকিব খান। তিনি অপুকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অস্বীকৃতি জানান।

তিনি বলেন, ‘জয় আমার সন্তান, কিন্তু আপু আমার স্ত্রী নয়।’ অবশ্য বিভিন্ন বিষয় চিন্তা করে পরবর্তীতে অপুকে স্ত্রীর মর্যাদা দেন তিনি। স্ত্রীর মর্যাদা দিলেও স্ত্রীর অধিকার কতটুকু দিয়েছেন সেটি প্রশ্নবিদ্ধ। আট বছরের গোপন দাম্পত্য জীবনে শাকিব অপু একসঙ্গে এক ছাদের নিচে থাকলেও বিয়ের খবর প্রকাশ হওয়ার পর এক ছাদের নিচে থাকা হয়েছে কিনা সেটি তারাই ভালো বলতে পারবেন।

কারণ গণমাধ্যমের জানা মতে, অপু ছেলে জয়কে নিয়ে নিকেতনে নিজের ফ্ল্যাটে থাকতেন। বাবার দায়িত্ব পালন করার খাতিরে শাকিব যাবতীয় খরচ দেয়া বাবদ মাঝে মাঝে অপুর বাসায় গিয়ে ছেলের সঙ্গে সময় কাটিয়ে আসতেন। এভাবে একদিকে চলতে থাকে শাকিব-অপু দম্পতির নিরব যুদ্ধ।

অন্যদিকে চলতে থাকে শাকিব-বুবলী জুটির লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন। শাকিবের সঙ্গে অপুর বৈবাহিক সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না, এটা মিডিয়ার ওপেন সিক্রেট হলেও অপু বরাবরই সব এড়িয়ে গেছেন। তিনি বুঝাতে চেয়েছেন শাকিবের সঙ্গে তার ভালো সময় কাটছে। শুটিংয়ের ব্যস্ততার কারণে শাকিব দেশের বাইরে থাকায় অপুর বাসায় খুব একটা যেতে পারেন না এমন চিত্রনাট্যই দেখিয়েছেন তিনি।

ছেলের জন্মদিন পালন করা নিয়েও তাদের মধ্যে ঘটে যায় মনোমালিন্য। অপুর আয়োজন করা অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হলেও ছেলেকে বাসায় নিয়ে পিতৃস্নেহ দেন শাকিব খান। প্রথম জন্মদিন উপলক্ষে ছেলের গলায় পরিয়ে দেন সোনার চেইন। অপুর আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানের যাবতীয় খরচ শাকিব দিলেও তার না থাকা অনুষ্ঠানকে অপূর্ণতা এনে দেয়।

আমন্ত্রিত অতিথিদের দাওয়াতপত্রে শাকিবের ছবি না থাকা অনুপস্থিত থাকার একটি কারণ বলে জানা যায়। খুঁটিনাটি এসব বিষয়কে পেছনে ফেলে অপু যখন আবার পর্দায় ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখনও ছিলো শাকিবের আপত্তি। অভিযোগ উঠে, যারা শাকিবের ক্ষতি চান, অপু তাদের সঙ্গেই মিশছেন।

স্বামীর শত্রুদের সঙ্গে অপুর মেলামেশা ভালোভাবে দেখেননি কিং খান। কিছুদিন আগে ছেলেকে বাসায় একা রেখে কলকাতায় গেছেন অপু বিশ্বাস। এই খবর শুনে রেগে যান শাকিব খান। ছেলেকে নিজের কাছে আনতে অপুর বাসায় গিয়ে শাকিব দেখেন ঘর তালাবন্ধ।

তখন শাকিব খান বলেছিলেন, ‘ছেলের প্রতি যার দায়িত্ববোধ এটুকুই, তার প্রতি ব্যবস্থা আর কী নেব? তবে আমি এ বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেব।’ সিদ্ধান্তটা কী হতে পারে, তা স্পষ্ট করে না বললেও হয়তো তিনি ডিভোর্সের দিকেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

ভালোবেসেই নাকি বিয়ে। যে বিয়ের জন্য নিজের ধর্ম ত্যাগ করেছেন অপু। সকলকে ছেড়ে ভরসা করেছেন শাকিবকে। অপু বিশ্বাস থেকে হয়ে উঠেছেন অপু ইসলাম খান। বিয়ে, সন্তান জন্ম সবই করেছেন গোপনে। লড়েছেন একা একা। জরুরি প্রয়োজনে পাশে পাননি স্বামীকে। অতঃপর অপুর বাসায় পোঁছে গেলো শাকিবের দেয়া ডিভোর্স লেটার।

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে