স্পোর্টস ডেস্ক: গত বছরে ইংল্যান্ডের ওভালে ভারতকে ১৮০ রানে হারিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিজেদের করে নেয় পাকিস্তান। পাকিস্তানের করা ৪ উইকেটে ৩৩৮ রানের জবাবে ভারত মাত্র ১৫৮ রানে অল আউট হয়ে যায়, ৩০.৩ ওভারে। এটা কেবল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ভারতকে হারিয়ে দেওয়াই নয়, সেইসাথে দুর্দান্ত একটি বিশ্বরেকর্ডও গড়ে ফেলেছে পাকিস্তান।
আইসিসির কোনো আসরের ফাইনালে কোনো দলই এত বড় ব্যবধানে জয় পায়নি। এর আগে ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়া-ভারত ম্যাচের ব্যবধানটি ছিল সবচেয়ে বড়। আর তাই পুরো পাকিস্তান জুড়েই মিছিলের পাশাপাশি মিষ্টি বিতরণ করেছে সমর্থকরা।
এদিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দলে টেনে তোলার জন্য প্রশংসায় ভাসছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। মূলত তার সুন্দর অধিনায়কত্বের গুণে আট নম্বর দল হিসাবে খেলতে আসা পাকিস্তানের হাতে উঠেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।
চলুন এবার কথা বলি অন্য প্রসঙ্গে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের এই অধিনায়ক সরফরাজ আহমদ খান একজন হাফেজে কোরআন। তবে ক্রিকেট বিশ্বে একমাত্র কোরআনে হাফেজ অধিনায়ক সরফরাজই।
তিনি বাদেও পাকিস্তানের ক্রিকেটে আরো ২ জন হাফেজ ক্রিকেটার রয়েছে। তারা হল সাদ নাসিম ও রাজা হাসান।
প্রসঙ্গত, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে জয়ের পর পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের মাঠে সিজদা দিতে দেখা গেছে।। বড় কোন জয়ে সিজদা লুটিয়ে পড়ে আল্লাহকে শুকরিয়া জানান তারা। বিশেষ করে মুসলমান হওয়ার কারণেই আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানান সরফরাজরা।
১১ জানুয়ারি ২০১৮/এমটিনিউজ২৪.কম/হাবিব/এইচআর