বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৮, ০৮:৩৩:৩৯

জাম্বো সাইজের মিষ্টি কুমড়ায় নজর কারছে আড়িয়াল বিল

জাম্বো সাইজের মিষ্টি কুমড়ায় নজর কারছে আড়িয়াল বিল

মঈনউদ্দীন সুমন: মুন্সিগঞ্জ জেলার আড়িয়াল বিলের ‘জাম্বো সাইজের’  মিষ্টি কুমড়া সারা দেশেই ব্যাপকভাবে খ্যাতি অর্জন করে আসছে। শীতের শেষে আড়িয়াল বিলের সৌন্দর্য দেখতে আসে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ। তারা ফিরে যাওয়ার সময় আড়িয়াল বিলের মিষ্টি কুমড়া সঙ্গে নিয়ে যেতে ভুলে না। এখানকার মিষ্টি কুমড়া দুই মণেরও বেশি ওজনের হয়ে থাকে। ১৩৬ বর্গ কিলোমিটারের এই অঞ্চলটি দেশের মধ্যাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন বিল।

শ্রীনগর বাজার থেকে সাড়ে চার কিলোমিটার পথ পার হলেই গাদিঘাট গ্রাম। আড়িয়াল বিলের শুরুটা মূলত গাদিঘাট থেকেই। শীতের শেষের দিকে আড়িয়াল বিলে গেলে চোখে পড়বে বৃহৎ আকারের মিষ্টি কুমড়া এবং কৃষকের ব্যস্ততা। এখন কুমড়াগুলো পরিপক্ব হয়ে যাওয়ায় জমি থেকে এনে দেশের বিভিন্ন বাজারে পাঠানোর পালা চলছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্যবাহী পরিবহনের মাধ্যমে এসব মিষ্টি কুমড়া নিয়ে যায় ব্যবসায়ীরা।

ওজন ও কেজি অনুযায়ী বিক্রি করা হয় এই মিষ্টি কুমড়াগুলো। পিস হিসেবে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা এবং কেজি ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।

আড়িয়াল বিলের চাষী আলি হোসেন জানান, আড়িয়াল বিলে তার চার একর জমি থেকে তিনি তিন থেকে চার লক্ষ টাকার মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করেন।

মিষ্টি কুমড়া আনা-নেয়ার কাজে ব্যস্ত দীন ইসলাম জানান, দূর-দূরান্তের জমি থেকে বিশাল ওজনের কুমড়া নিয়ে আসি যার বিনিময়ে পারিশ্রমিক পাই। পারিশ্রমিক চুক্তি হিসেবে ইতোমধ্যে ৭ হাজার টাকা পেয়েছি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. হুমায়ূন কবীর বলেন, শীত মৌসুমে আড়িয়াল বিলের মিষ্টি কুমড়ার চাহিদা অনেক বেশি থাকে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চাষীদের সবরকমের পরামর্শ দিয়ে তাদের সহায়তা করে থাকে। বর্ষার পানি নেম গেলে কচুরিপানা স্তূপ করে কুমড়ার চারা লাগানো হয়। ফাল্গুন মাসে মিস্টি কুমড়া পরিপক্বতা পেলে বিক্রি শুরু হয়।
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে